পাবনার সুজানগরের তাঁতীবন্দ ইউনিয়নের ঘোড়াদহ এবং দুলাই ইউনিয়নের রামকান্তপুর গ্রামের সীমান্তে নির্মিত একটি ব্রিজ নিয়ে মানুষের কৌতুহলের শেষ নেই। বিশেষ করে গত ২০বছর আগে নির্মিত ওই ব্রিজটি এলাকাবাসীর কোন কাজে না লাগায় মানুষের মনে এই কৌতূহল দেখা দিয়েছে। তাছাড়া কৌতুহলের আরও কারণ হলো ইতোমধ্যে বিজটির পাশ দিয়ে বিকল্প কাঁচা রাস্তা তৈরী হয়েছে। এলাকাবাসী ওই রাস্তা দিয়েই চলাচল করেন।
দুলাই ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম শাহজাহান জানান, ২০০১সালের শেষের দিকে ওই স্থানে এডিপি’র অর্থায়নে প্রায় ১০লাখ টাকা ব্যয়ে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। ব্রিজটি নির্মাণের উদ্দেশ্য ছিল বর্ষা মৌসুমে উপজেলার মতিয়ার বিলের পানি নিষ্কাশন এবং ঘোড়াদহ ও রামকান্তপুরসহ ৪/৫টি গ্রামের মানুষের যাতায়াতের সুব্যবস্থা করা। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অপরিকল্পিতভাবে সমভূমি থেকে প্রায় ১৫ফুট উঁচু করে ব্রিজটি নির্মাণ করেন। এতে পরবর্তীতে ১৫ফুট উঁচু করে নির্মিত ব্রিজের আর সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা সম্ভব হয়না। এলাকাবাসী ব্রিজটির ব্যাপারে বিকল্প পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বারবার অনুরোধ করলেও কোন কাজ হয়না। ফলে ব্রিজটি কখনও আর এলাকাবাসীর কাজে আসেনা। বরং ব্রিজটি দিনের পরদিন ওই স্থানে পড়ে থাকায় এলাকাবাসীর জমিজমা চাষাবাদে বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে। পাশাপাশি এলাকার শিশু-কিশোররা খেলারছলে ব্রিজটির উপরে উঠে পড়ে গিয়ে হতাহতেরও আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। রামকান্তপুর গ্রামের আফতাব হোসেন বলেন ব্রিজটির সংযোগ সড়ক না থাকায় এলাকাবাসীকে বেশিরভাগ সময় নৌকায় চলাচল করতে হয়। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে সম্পূর্ণ নৌকার উপর নির্ভর হতে হয়। তবে একই এলাকার হাসাদ ফকির বলেন এখন আর ব্রিজটি নিয়ে কোন মাথাব্যথা নাই। গত ৪/৫বছর আগে কাবিখার অর্থায়নে ব্রিজটির পাশ দিয়ে একটি কাঁচা রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে এলাকাবাসী শুষ্ক মৌসুমে ওই রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করেন। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী রাকিব হোসেন বলেন ব্রিজটির ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা। তবে খোঁজ-খবর নিয়ে বিষয়টি আমার ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবো।