ছাত্র রয়েছে মোট ছয়জন। অথচ কাগজপত্রে গড়মিল করে প্রতিমাসে সমাজ সেবা অফিস থেকে ৩০ জন এতিমের নামে টাকা উত্তোলন করে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নের কর্ণকাঠী আম্মানিয়া এতিমখানার।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের মাঝের দিকে অনেকদিন বন্ধ ছিলো এতিমখানাটি। পরে পূর্নরায় গত বছরের শেষেরদিকে মাত্র ১৪ জন ছাত্র নিয়ে ফের চালু হয় এতিমখানাটি। বর্তমানে ওই এতিমখানায় ছাত্র রয়েছে মাত্র ছয়জন। এরমধ্যে এতিম শিক্ষার্থী রয়েছে মাত্র তিনজন। তারপরেও কিভাবে ৩০ জন এতিমের নামে সরকারী বরাদ্দ পাচ্ছেন।
সমাজ সেবা অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারী ক্যাপিটেশনপ্রাপ্ত এতিমখানায় ৩০ জন এতিমের বরাদ্দ নিতে হলে সেই এতিমখানায় কমপক্ষে ৬০ জন এতিম থাকতে হবে। নতুবা ওই প্রতিষ্ঠান সরকারী বরাদ্দ পাবেনা। মাদ্রাসায় গিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে ছয়জন ছাত্রের মধ্যে মাত্র তিনজন শিক্ষার্থী এতিম। একজন পাশের মাদ্রাসার অধ্যক্ষর ভাগ্নে। অন্য দুইজনের মধ্যে একজন স্থানীয়, আর একজনের মা-বাবা সবাই বেঁচে আছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এতিমখানা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক গনি সরদার প্রতারনার মাধ্যমে ব্যাপক অনিয়ম করে সরকারী অর্থ তুলে আত্মসাৎ করছেন। স্থানীয়রা এতিম শিশুদের নামে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাতের বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এতিমখানার প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আনছার উদ্দিন বলেন, এতিমখানাটি সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে না। এটি এখন সরকারী বরাদ্দের টাকা আত্মসাতসহ ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে রূপ দিয়েছে বর্তমান কমিটির কতিপয় নেতৃবৃন্দরা। এতিমখানার সুপার মাওলানা মোছাদ্দেক বিল্লাহ বলেন, আমি কিছুদিন হয়েছে এখানে এসেছি। তাই সঠিকভাবে কিছু বলতে পারবোনা। তিনি আরও বলেন, আমি এখানে যোগদানের পর ১২ জন ছাত্র পেয়েছি। তারমধ্যে কিছু ছাত্র ছুটিতে রয়েছে। এতিমখানায় সরকারী বরাদ্দ আসার ব্যাপারে তিনি (সুপার) কিছুই জানেন না বলে উল্লেখ করেন। অভিযোগের ব্যাপারে জেলা সামজসেবা অফিসের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, অনিয়মের ব্যাপারে খোঁজ খবর নিয়ে অভিযোগের সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।