নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের মধ্যম সুন্দরখাতা গ্রামের দিন মজুর গরিব অসহায় পরিবারের মেধাবী ছাত্রী রিমু এবারের এসএসসি পরীক্ষায় ডিমলা সরকারী বালিকা উচ্চবিদ্যালয় হতে জিপিএ-৫ পেয়েছে। রিমু ছোটকাল থেকে মেধাবী ছাত্রী ৫ম শ্রেনীতেও ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছিলো সে।
কিন্তু গরিব অসহায় পরিবারে জ›ম নেয়ায় পড়ালেখা করে বড়কিছু হওয়ার স্বপ্ত ভেস্তে যেতে বসেছে মেধাবী রিমুর। বয়সের ভারে দিন মজুর পিতা মোস্তাফিজুর রহমান (৬৮) আর মজুরি করতে পারেনা। দু সন্তান স্বামী নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে রিমুর গৃহিনী মাতা আসমা আক্তার (৪৫)। মানুষের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে স্বামী সন্তানদের মুখে কোন রকমে দুবেলা দুমুঠো খাবার জোগায়। জায়গা জমি বলতে ভিটেমাটি টুকু ছাড়া আর কিছুই নেই তাদের। রিমুর স্বপ্ন পড়ালেখা করে ভাল কোন চাকুরী করে ছোট ভাইয়ের পড়ালেখা ও পরিবারের মুখে হাসি ফোটাবে। কিন্তু অভাবের কারণে রিমুর এইচএসসিতে ভর্তির বিষয়টিই হয়ে পড়েছে অনিশ্চিত। তার মাতার পক্ষে রিমুকে কলেজে ভর্তি করার কোন সামর্থ নেই। তাই রিমুর অসহায় পিতা মাতা মেয়ের পড়ালেখার জন্য সমাজের বৃত্তবানদের নিকট পড়ালেখার ভার অথবা সাহায্যের প্রার্থনা করেছেন। সাহায্য পাঠানোর বিকাশ নাম্বারÑ০১৭৫৫২৭০৬৪৩(রিমুর মাতা)।