‘সময়ের বিধান, সবাইকে মেনে নিতে হয়’ নিজের ফেসবুক আইডিতে এমন স্ট্যাটাস দেয়ার ১০দিনের মধ্যে নিজের আকস্মিক মৃত্যু দিয়ে প্রমাণ করে গেলেন কুড়িগ্রাম সোনালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার পলাশ চন্দ্র বর্মন (৩৮)। শনিবার(২২জানুয়ারী) রাতে কুড়িগ্রামের রাজারহাট আদর্শ বিএল উচ্চবিদ্যালয় মাঠে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় সভায় বক্তৃতা করার সময় হঠাৎ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।
কুড়িগ্রাম সোনালী ব্যাংক প্রিন্সিপাল অফিসের ডিজিএম ওয়াহেদুন্নবী এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন পলাশ চন্দ্র বর্মনের বাড়ি পার্শ্ববর্তী লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা উপজেলার নওদাবাস এলাকায়। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত এবং তার একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। তিনি উলিপুরে স্ত্রী সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন।
সোনালী ব্যাংক সূত্র জানায়, পলাশ চন্দ্র বর্মন পেশায় ব্যাংক কর্মকর্তা হলেও ধর্মীয় আলোচনায় পারদর্শী ছিলেন। বিভিন্ন ধর্মীয় সভায় আলোচনার জন্য বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিতেন। শনিবার(২২জানুয়ারী) ওই ধর্মীয় সভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হলে আয়োজকরা তাকে দ্রুত কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
শনিবার রাতেই পরিবারের লোকজন তার লাশ হাসপাতাল থেকে নিজ বাড়ি লালমনিরহাটের নওদাবাসে নিয়ে গিয়ে সৎকার করেন।
রাজারহাট সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক গোলাম মোস্তফা বলেন, পলাশ চন্দ্র বর্মন একজন দক্ষ ও দায়িত্বশীল ব্যাংক কর্মকর্তা ছিলেন। তার আকস্মিক মুত্যুতে আমরা একজন ভালো ব্যাংক কর্মকর্তাকে হারালাম।