পদ্মা নদীতে ঝুঁকি নিয়ে খেয়া নৌকায় যাতায়াত করতে হচ্ছে পাবনার সুজানগর উপজেলার সাতবাড়ীয়া এবং রাজবাড়ীর পাংসা উপজেলার হাবাসপুর এলাকার শত শত খেয়া নৌকার যাত্রীদের। বিশেষ করে যে সকল যাত্রীরা মোটরসাইকেলেযোগে খেয়া নৌকা পার হন তারা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন।
পদ্মাপাড়ের সাতবাড়ীয়া-নারুহাটি গ্রামের বাসিন্দা খলিলুর রহমান বলেন পদ্মা নদীর হাবাসপুর খেয়াঘাট অংশে প্রায় চার কিলোমিটার চর জেগে উঠেছে। আর সাতবাড়ীয়া খেয়াঘাট অংশে মাত্র দুই আড়াই কিলোমিটার পদ্মা নদীতে পানি আছে। ফলে যাত্রীদের মাত্র আড়াই কিলোমিটার খেয়া নৌকায় পদ্মা নদী পার দেওয়ার পর দীর্ঘ প্রায় ৪কিলোমিটার পদ্মার চর পায়ে হেঁটে, মোটরসাইকেল ও সাধারণসাইকেলযোগে আবার কখনও ঘোড়ার গাড়ীতে করে হাবাসপুর খেয়াঘাটে পৌঁছাতে হয়। ভুক্তভোগী খেয়া যাত্রী সেলিম রেজা বলেন আমরা যারা মোটরসাইকেলযোগে খেয়া নৌকা পার হই তারা প্রচ- ঝুঁকি নিয়ে পার হই। কারণ পদ্মা নদীর হাবাসপুর খেয়াঘাট অংশে বাঁশের মাচানের সাঁকোর উপর দিয়ে মোটরসাইকেল নৌকায় উঠাতে এবং নামাতে হয়। শুধু মোটরসাইকেল আরোহী যাত্রী নয়, অনেক সময় মহিলা এবং বয়স্ক যাত্রীরাও ঝুঁকি নিয়ে ওই মাচানের উপর দিয়ে খেয়া নৌকায় উঠা-নামা করেন বলেও আরেক ভুক্তভোগী যাত্রী সোহরাব আলী জানান। যাত্রীরা যেকোন সময় ওই মাচানের সাঁকোর উপর দিয়ে খেয়া নৌকায় উঠা-নামা করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পতিত হতে পারেন বলে পদ্মাপাড়ের লোকজন আশঙ্কা করছেন। খেয়া নৌকার মাঝি স্বপন কুমার বলেন পদ্মা নদীর বেশিরভাগে অংশে চর জেগে উঠায় আমরা সুবিধা মতো জায়গায় ঘাট স্থাপন করতে পারছিনা। ফলে নিরুপায় হয়ে নদীর কিছু অংশে বাঁশের মাচান তৈরী করে যাত্রীদের নৌকায় উঠাতে-নামাতে হচ্ছে। তবে এতে তেমন ঝুঁকি নেই বলে তিনি জানান। সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রওশন আলী বলেন আমি পাংসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করে খেয়াঘাট দু’টি যাতে নিরাপদ জায়গায় স্থানান্তর করা যায় সে ব্যাপারে উদ্যোগ নেব।