জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল পৌর এলাকার ইটাখোলা বাজার হতে নিশ্চিন্তা সড়কে ২ কিঃমিঃ অংশে নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহার করে রাস্তা নির্মান কাজের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন বলছে, সব সিডিউল মাফিক হচ্ছে।
ক্ষেতলাল প্রকৌশলী অফিস সুত্রে জানা গেছে, এলজিইডি প্রকল্পের বরাদ্দের আওতায় প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে উপজেলার ইটাখোলা বাজার হতে নিশ্চিন্তা সড়কে ৩ ইঞ্চি ডইগ পুণঃকার্পেটিং কাজের দায়িত্ব পান জয়পুরহাটের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এম আর ট্রেডার্স এর স্বত্তাধিকারী জনৈক রাসেল।
রোববার (২৩ জানুয়ারী) ইটাখোলা বাজার থেকে ২কিলোমিটার নির্মানাধীন সড়কে পুরনো সড়কের পিচ একটু আলগা করে বালু ছাড়াই তার উপরে নিম্নমানের ইটের খোয়া ও রাবিশ বিছিয়ে নির্মান কাজ করছে এলাকাবাসী এমন অভিযোগ করেন। এলাকাবাসীর এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাকিম মন্ডল ওই নির্মানাধীন সড়কটি পরিদর্শন করেন। তিনি অভিযোগের সত্যত্যা পেয়ে এ বিষয়ে স্থানীয় সাংসদ এবং হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনকে অবহিত করেন। হুইপ স্বপন জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী আলাউদ্দিন হোসেনকে রাস্তাটি পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। নির্বাহী প্রকৌশলী সড়কটি পরির্দশনে এসে ওই ঠিকাদারকে রাস্তার কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন এবং নির্মান সামগ্রীর নমুনা সংগ্রহ করেন। এ সময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাকিম মন্ডল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইশতিয়াক আহমেদ, উপজেলা প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার মন্ডল উপস্থিত ছিলেন। তারা সকলেই সড়কে নিম্নমান নির্মান সামগ্রীর ব্যবহারের সত্যতা পান।
ক্ষেতলাল স্থানীয় বাসিন্দা সাংবাদিক মুনছুর রহমান বাবু বলেন, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে সড়ক নির্মানের বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান সরেজমিন পরিদর্শনে গেলে আমি তা সোস্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরি। হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপির দৃষ্টি গোচর হলে তিনিও এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলীকে ওই সড়ক পরিদর্শনে পাঠান।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে রমজান খান জানান, স্থানীয় লোকজনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট এলজিইডি দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ সড়ক নির্মান কাজ পরির্দশনে আসেন, তারা আপাতত নির্মানকাজ বন্ধের নির্দেশ দেন কিন্তু সিডিউল মাফিক ভালমানের সামগ্রী ব্যবহার করে কাজ করা হচ্ছে। এলাকাবাসী না বুঝেই মিথ্যা অভিযোগ করেছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তাকিম মন্ডল বলেন, জনগনের ট্যাক্সের টাকায় নির্মিত সড়কে নিম্নমানের কাজ আমরা মেনে নিতে পারিনা। এলাকাবাসী বিষয়টি আমাকে জানালে, আমি সড়কে নিম্নমানের নির্মান কাজের খবরটি হুইপ মহোদয়কে অবহিত করি। হুইপ মহোদয়ের নির্দেশে এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী সড়কটি পরিদর্শন শেষে নির্মান কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী আলাউদ্দিন হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়ে নির্মানাধীন সড়ক পরির্দশন করি এবং নিম্নমান কাজের নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে আসি, আপাতত নির্মান কাজটি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।