আসন্ন ইউপি নির্বাচনে পরাজয় নিশ্চিত যেনে বিদ্রোহী প্রার্থী দিনাজপুর সদরের সুন্দরবন ইউনিয়নের নৌকা মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী অশোক কুমার রায়ের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও সহিংসতাসহ নানান ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। এসব অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সুন্দরবন ইউপির আওয়ামী লীগের প্রার্থী অশোক কুমার রায়।
সোমবার দুপুরে দিনাজপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সদর উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের নৌকা মার্কার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী অশোক কুমার রায়ের আহবানে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
লিখিত বক্তব্যে অশোক কুমার রায় বলেন, আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনা মনোনিত সদরের সুন্দরবন ইউপি নির্বাচনে আ:লীগের দলীয় নৌকা মার্কার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। বিগত দিনেও আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে সুন্দরবন্ ইউনিয়নের সার্বিক উন্নয়ন ও কল্যাণেজননেত্রী শেখ হাসিনার আর্দশের সৈনিক হিসেবে রাতদিন জনগনের সেবায় নিয়োজিত ছিলাম এবং আগামী দিনেও একইভাবে মানুষের কল্যাণেকাজ করতে চাই।
তিনি আরও বলেন, সদরের সুন্দরবন্ ইউপি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় জেলা আ.লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আবদুল লতিফ বিদ্রোহী চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে এ নির্বাচনে প্রতিদন্ধিতায় অবর্তীণ হয়েছেন এবং তাকে সহযোগীতা করছে ৩নং ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি আবদুস সাত্তারসহ তার গুটি কয়েক অনুসারী। গত ইউপি নির্বাচনেও আবদুল লতিফ আমার কাছেই পরাজিত হয়েছেন। তারা চেষ্টা করছে নির্বাচনের আগে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বড় ধরনে কোনো সহিসংতার সৃষ্টি করে তার দ্য়া আমার ঘাড়ে চাপানোর। আবদুল লতিফ ও আ: সাত্তার এবং তার অনুসারীরা আমার নির্বাচনী প্রচার, প্রচারণায় বাধা সৃষ্টিসহ নিরীহ ভোটারদের হুমকি ধমকি ও সংলঘু সম্প্রদায়ের ভোটারদের নানানভাবে ভয়ভীতি প্রর্দশন করছে। এসমস্ত কারণে সংঘাতবিহীন সুষ্ঠ নির্বাচন হওয়ার ক্ষেত্রে আমি শংকিত হয়ে পড়ছি। আবদুল লতিফ জেলা আওয়ামী লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হওয়ায় নির্বাচনী এলাকায় বিএনপি জামায়াতের প্রার্থীর সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করছে এবং সহিংসতা ঘটানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে তিনি দাবী করেন, দল এবং দলীয় সভানেত্রীর নির্দেশনা অমান্যকারীদেরকে শৃংখলাভঙ্গ ও সংগঠন বিরোধী কর্মকা- লিপ্ত থাকায় সংগঠন থেকে বহিস্কার করা হোক। সেই সাথে তিনি সাধারন ভোটারদের বিভ্রান্ত না হওয়ার আহবান জানিয়ে সংশ্লীষ্ট প্রশাসনের কাছে ৩১ জানুয়ারী অনুষ্ঠিতব্য সদরের সুন্দবন ইউপিতে সংঘাতহীন সুষ্ঠু সুন্দর নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবী করেন।