কেশবপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধে ষড়যন্ত্রমুলক হয়রানির হাত থেকে রক্ষার দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন গোলাম মোস্তফা নামে একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। মঙ্গলবার দুপুরে তিনি কেশবপুর প্রেসক্লাবের হলরুমে ওই সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব আলী সরদারের ছেলে গোলাম মোস্তফা বলেন, প্রতিবেশি মোজহাম আলী সরদারের ছেলে আবদুস সাত্তার,নাসির উদ্দিন ও তাদেও চেলে সবুজ কুদ্দুস সহ আরো অনেকে সাবদিয়া ৭১ নম্বর মৌজায় এস এ ও আর এস রেকর্ডিয় পৈর্তৃক সুত্রে ১৮৮-১৮৯ দাগে সর্ব রেকর্ডে ৫২ শতক জমি বিদ্যমান। এ জমির পাশে একটি কাঁচা খাশ রাস্তা রয়েছে। যা পুর্বে ৯ ফিট ও পশ্চিমে ১৩ ফিট ছিল। বর্তমানে ১৩ ফিট সমান হয়েছে। যে কারণে দক্সিণ পাশে বিবাদীর চাচাতো ভাই সোহরাব হোসেন খাস জায়গায় ৪ ফিট দখলে নিয়ে আমাদের সম্পত্তিতে জবর দখলের চেষ্টা চালালে আমরা বাঁধা দেই। এরপর কেশবপুর পৌরসভায় সার্ভেযার দিয়ে জমি পরিমাপের জন্য আদেন করলে সে মোতাবেক ৩০/১২/২০২১ ইং তারিখ সরেজমিন আমিনের পরিমাপে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি গণের উপস্থিতিতে এ দাগের উত্তর মাথায় পাকা ইটের ছাদের ঘর ও তার পিছনের ৪ ফিট জমির সিমানা নির্ধালন করে। অথচ সাত্তার নাসির ও সোহরাব গং কোন আপত্তি করেনি। তিনি আরো উল্লেখ করেন যে তিনি প্রায় এাক বছর ধরে সিমানা বেড়া দিয়ে চাষাবাদ করে আসলেও প্রতিপক্ষরা বাঁধা দেয়নি। এরপর পৌর মেয়রের স্মরণাপন্ন হলে তিনি সুক্ষ বিচারান্তে সার্ভেযারের পরিমাপের রিপোর্ট অনুযায়ী তাদেরকে পুর্ব সিমানায় বহাল রাখেন। এবং প্রতিপক্ষ দের দখলিয় গাছ গাছালি এক মাসের মধ্যে কেটে নেয়ার জন্য বলেন। এ নির্দেশনা অমান্য করে তারা পুলিশ ব্যব্হার করে সন্ত্রাসী ষ্টাইলে জমি জবর দখলের চেষ্টা চালায়। প্রতিপক্ষরা পুলিশকে দিয়ে একটি নন জি আর মামলা করিয়ে গত ২১ জানুয়ারী তারিখে গোলাম মোসতফা ও তার অপর ভাইদেও নামে ওয়ারেন্ট করিয়ে জেল হাজতে পাঠায়। এমনিতর ষড়যন্ত্র মাপথায় নিয়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা পথে পথে ঘুরছেন।
মিথ্যা মামলায় হয়রানি থেকে প্রতিকার চেয়ে তিনি প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, গোলাম মোস্তফার বড় ভাই আবদুল আজিজ সরদার ও ভাইপো রায়হান কবীর।