কটিয়াদীর পাঁচগাতিয়া গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরে অবসরপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য পরিদর্শক আলহাজ¦ মতিউর রহমান আকন্দের (৭০) বসতবাড়িতে প্রতিপক্ষের লোকজন সশস্ত্র হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করেছে। এ সময় হামলাকারীরা বাড়ির বৈদ্যুতিক লাইট, গেইট ও দেয়াল ভাংচুর করে সন্ত্রাসী তান্ডব চালায়। এতে বাধা দিলে ওই স্বাস্থ্য কর্মকর্তার স্ত্রী, দুই ছেলে মাহমুদুল হাসান ও মাহমুদুল হোসেনকে খুন জখমের উদ্যত হলে তাদের ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তারা প্রাণে বেঁচে যান। এ ঘটনায় পুলিশ থানায় মামলা না দিলে ভুক্তভোগী মতিউর রহমান বাদী হয়ে আসামি এম.এ মান্নান ও গংদের নামাল্লেখ করে গতকাল কিশোরগঞ্জ জজকোর্টে দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা (নং-০৭/২০২২) করেন। পরে আদালতের বিচারক পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি এ ব্যাপারে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, কটিয়াদী উপজেলার পাঁচগাতিয়া গ্রামের মৃত আঃ রাশিদের ছেলে এম.এ মান্নানের সাথে প্রতিবেশী মৃত আঃ রাজ্জাক আকন্দ এর ছেলে অবসরপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য পরিদর্শক মতিউর রহমান আকন্দের বসতবাড়ির উপর দিয়ে জোরপূর্বক ব্যক্তিগত চলাচলের সুবিধার্থে রাস্তা নিমার্ণের ষড়যন্ত্রসহ নানাবিধ কারণে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এছাড়াও পূর্ব শত্রুতার জেরে আদালতে উভয়পক্ষের মধ্যে একাধিক মামলা-মোকদ্দমা চলমান রয়েছে। এ অবস্থায় গত ১৯ জানুয়ারি দিবাগত রাতে প্রতিপক্ষের লোকজন মতিউর রহমান আকন্দের বসতবাড়িতে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুরের তান্ডব চালায়। এ সময় ৯৯৯ এ ফোন করে ঘটনাটি জানালে তাৎক্ষনিকভাবে কটিয়াদী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার বিস্তারিত অবগত হওয়াসহ সার্বিক বিষয় পর্যবেক্ষণ করে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দিতে বলে। পরদিন ভুক্তভোগী থানায় গিয়ে এজাহার দায়ের করতে চাইলে পুলিশ বিষয়টি সাধারণ ডায়েরির উদ্যোগ নেয়। পরে সুষ্ঠু বিচারের স্বার্থে আসামীদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন বলে ভুক্তভোগী অবসরপ্রাপ্ত ওই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এ প্রতিবেদককে জানান।