মুলাদীতে ভিড় বেড়েছে খোলা বাজার বিক্রয় (ওএমএস) কেন্দ্রে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধিতে অনেকেই ওএমএস কেন্দ্র থেকে মালামাল কিনছেন। অপেক্ষাকৃত কমমূল্যে চাল, আটা কেনার জন্য নি¤œবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা ওএমএস কেন্দ্রে ভিড় করছেন।
বৃহস্পতিবার মুলাদী বন্দর বাধের উত্তরপাড়ে, হিজলা-মুলাদী সংযোগ সেতুর পূর্ব পাড়ে ওএমএস কেন্দ্রে ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে। কয়েক মাস বন্ধ থাকার পরে গত শনিবার থেকে খোলা বাজারে বিক্রয় শুরু হওয়ায় এখন ভিড় কিছুটা বেশি ছিলো বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য নিয়ন্ত্রয়ন রাখতে খোলা বাজার বিক্রয় কেন্দ্র চালু করা হয়। বাজার মূল্যের চেয়ে অপেক্ষাকৃত কমমূল্যে চাল, আটা কিনতে পারেন ক্রেতারা। যদিও জনপ্রতি ৫ কেজি চাল এবং ৫ কেজি আটা বিক্রির বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
গলইভাঙা গ্রামের আমেনা বেগম জানান, বাজারের চালের কেজি ৪৬ থেকে ৫০টাকা এবং আটার কেজি ৩৮/৪০ টাকা। ওএমএস কেন্দ্র থেকে চাল ৩০ টাকা এবং আটা ১৮টাকা কেজিতে কিনতে পাওয়া যাচ্ছে। যদিও এখানে লাইনে দাঁড়িয়ে সংগ্রহ করতে হচ্ছে। কিছুটা সাশ্রয়ের আশায় আমরা এখান থেকে চাল আটা কিনছি।
চরডিক্রী গ্রামের আয়নাল ফকির বলেন, কয়েক মাস ওএমএস কেন্দ্রে চাল আটা বিক্রি বন্ধ ছিলো। এতে নি¤œবিত্ত ও স্বল্প আয়ের মানুষ অসুবিধায় পড়েছে। বাজার থেকে ৫০টাকা দরে চাল এবং ৪০টাকা দরে আটা কিনে খাওয়া আমাদের পক্ষে সহজ নয়। তাই সারা বছর ওএমএস কেন্দ্র চালু রাখা হলে কিছুটা সুবিধা হতো।
ওএমএস কেন্দ্রের ডিলার আলমগীর হোসেন জানান, কয়েক মাস বন্ধ থাকার পরে গত শনিবার থেকে আবার ওএমএসের বিক্রি চালু হয়েছে। তাই কিছুটা ভিড় রয়েছে। কয়েক দিন পরে কেন্দ্রে ভিড় কমবে এবং সবাই সহজেই চাল আটা কিনতে পারবেন।