করোনা ভেতরে সরকারি স্বাস্থ্য বিধিনিষেধ অমান্য করে। রাজশাহীর পুঠিয়ায় পরিবারের ইচ্ছে পুরণ করতে হেলিকপ্টারে চড়ে দিনাজপুর বিয়ে করতে গেলেন বর। আর হেলিকপ্টার চড়ে বিয়ের যাত্রা দেখতে সকাল থেকে আশেপাশের কয়েক গ্রামের হাজারো উৎসক মানুষ জড় হয়। বৃহস্পতিবার ২৭ জানুয়ারী দুপুর ১২ টার দিকে উপজেলার ভালুকগাছি ইউনিয়নের হাড়োগাথি গ্রামের একটি ইটভাটায় হেলিকপ্টার ল্যান্ড করে। ওই গ্রামের সাবেক নৌবাহিনী কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেনের ছেলে ও ডিপ্লোমা প্রকৌশলী ইরমান হোসেন হ্নদয় বিয়ে হচ্ছে দিনাজপুর বিরামপুর উপজেলা এলাকার সেনা কর্মকর্তার মেয়ের সাথে। বরের পিতা ইসমাইল হোসেন বলেন,আমাদের পরিবারের ইচ্ছে ছিল, ছেলেকে হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করানোর। তাদের সে ইচ্ছে পুরণে প্রায় ৩ লাখ টাকা খরচ করে হেলিকপ্টার ভাড়া নেয়া হয়। দুপুরে এখান থেকে বর নিয়ে কনের বাড়ি যাবে। বিয়ের কাজ শেষে আবার নিয়ে আসবে। সেই সাথে ছেলের বিয়েতে সকল আত্মীয় স্বজনদের নিমন্ত্রণ করা হয়েছে। আবুল হোসেন নামের একজন উৎসক জনতা বলেন, আমাদের গ্রামে তো দুরের কথা, আশেপাশের কোনো গ্রামে কখনোই হেলিকপ্টার নামেনি। তাই হেলিকপ্টার দেখতে আজ সকাল থেকে ওই ইটভাটা এলাকাজুড়ে শতশত উৎসুক মানুষ অপেক্ষা করেন। তবে দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটেছে দুপুরের দিকে। শুনেছি সন্ধ্যার আগে আবারো বউ নিয়ে এখানেই আসবে হেলিকপ্টার। হেলিকপ্টারে বিয়ে করা নিয়ে উপজেলা জুড়ে স্বাস্থ্য বিধিনিষেধ কথা সবার মুখেমুখে বলাবলি চলছে। হাড়োগাথি গ্রাম এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, সরকার করোনা বেড়ে যাওয়ার কারণে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিল। আর করোনার ভেতরে বিয়ে উপলক্ষে এই এলাকায় হাজার হাজার মানুষ এক সঙ্গে জড় হয়ে করোনার ঝুকিতে পড়ল। এই দায় কে নিবে। থানা পুলিশ কেন এবং কী জন্য এত মানুষ জড় হওয়ার অনুমতি দিল। এখানে সরকারি বিধিনিষেধকে বৃদ্ধা আঙালি দেখানো হল।
এ ব্যাপারে পুঠিয়া থানার ওসি সোহরাওয়াদী হোসেন বলেন, একটি বিয়ের জন্য ওই গ্রামে হেলিকপ্টার ল্যান্ড করা হবে, এমন একটি আবেদন আমরা পেয়েছি। আর সে মোতাবেক আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।