প্রাণঘাতী করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বগতি রোধে সরকার দেশের স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করেছেন। গত ২১ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তবে অভিনব কায়দায় খুলনার পাইকগাছায় চলছে কোচিং সেন্টার, ব্যাচ ও টিউশন। সরকারের নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কোচিং সেন্টারগুলো চালু থাকায় রীতিমত আতঙ্কিত সংশ্লিষ্টরা। তবে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে এবং কোচিং সেন্টারগুলোর কিছুটা চাপ শিক্ষার্থীর উপর থাকায় এ বিষয়ে কোনো মন্তব্যই করতে চাইছেন না কোনো কোনো অভিভাবক। কোচিং সেন্টারগুলোর ছোট ঘরে গাদাগাদি করে শিক্ষার্থীদের বসতে হচ্ছে। এক ব্যাচ শেষ হলে আরেক ব্যাচ বাহিরে অপেক্ষায় থাকে। এদিকে, সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে কোচিং সেন্টার, কিন্ডারগার্টেন ও স্কুলে চালু রাখা কোচিং প্রতিরোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করার দাবী জানিয়েছে সচেতন অভিবাবক ও এলাকাবাসী। কোচিং সেন্টারগুলোর প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে ভিতরে চলছে পাঠদান। অনেক শিক্ষক তাদের প্রাইভেট ব্যাচগুলোর ক্লাসের নির্ধারিত স্থান থেকে সরে এসে নিজ নিজ বাসায় ক্লাস নিচ্ছেন। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এ দৃশ্য দেখা গেছে। উপজেলার নতুন বাজর, মানিক তলা, আগঢ়ঘাটা, পৌরসভা, গোপালপুর, বাঁকা বাজার, বাণিজ্যক শহর কপিলমুনিসহ বিভিন্ন স্থানে কোচিং চলছে। স্থানীয়রা বলছেন, সকাল-বিকেল, সন্ধ্যার পরও চলছে রমরমা কোটিং বাণিজ্য। কোচিং সেন্টারের শিক্ষকদের কারণে প্রাণঘাতী করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বগতি রোধে সরকারি নির্দেশনা সফল হচ্ছে না। এর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে সচেতন মহল।