ঝড় ও জলোচ্ছাস প্রবন দশমিনা উপজেলার ১৬টি চর এলাকায় কোন বেড়িবাঁধ নির্মিত হয়নি। চরগুলো হচ্ছে চর হাদী চর বোরহান, চর আজমাইন,চর ফাতেমা,চর আদিল,চরহায়দর চর,চর শাহজালাল, মুজার চর, চরগুনি, পাতার চর, চর বাঁশবাড়িয়া, কাউয়ার চর, চর,চঙ্গার চর,চর ভুপেন্দ্র, পূর্ব কালির চর,ও চর সামাদ।
উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, ওই সমস্ত চরে প্রায় ২০ হাজার একর জমি বিভিন্ন মৌসুমে চাষাবাদ হয়ে থাকে। আউষ, আমন, ও বোর ধানের চাষ ব্যাপক এবং খরিপ মৌসুমে খেসারি, মোগ,মরিচ তিল,তিসি, ফুট,তরমুজ, ও খিরাই এবং মিষ্টি কুমড়ার চাষ হয প্রচুর। এসব চরের চারদিকে বেড়িবাঁধ না থাকায় প্রতিবছর আগাম জোয়ারের পানি ও জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে যায় এবং ভাসিয়ে নিয়ে যায় হাজার হাজার একর জমির ফসল। বেড়িবাঁধ না থাকায় ভূমিহীন কৃষকরা পারে না তাদের কষ্টার্জিত উৎপাদিত ফসল ঘরে তুলতে। প্রতি বছর ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে শুধু ফসলই বিনষ্ট হয় না বেড়িবাঁধের অভাবে প্রবল ¯্রােতে ভাসিয়ে নিয়ে যায় শত শত বাড়ীঘর।
১৯৭০ও১৯৯০ সালের প্রলয়ংকারী ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে শুধু ফসলই বিনষ্ট হয়নি, বেড়িবাঁধের অভাবে প্রবল ¯্রােতে এসব চরোঞ্চলের শত শত পরিবার নিচিহ্ন হয়ে যায়।২০০৮ সালের সিডর এবং২৫মে ২০০৯ সালের ঘূর্নিঝড় আইলায় দশমিনা উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলের ২৩ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১০হাজার ঘরবাড়ি সম্পূর্ন বিধ্বস্ত হয়েছে। ১৫ কিঃ মিঃ ভেড়িবাঁধ, ৩০ কিঃ মিঃ কাঁচা পাকা সড়ক বিলিন হয়ে গেছে। ভাসিয়ে নিয়ে যায় হাজার হাজার কৃষক পরিবারের সর্বস্ব। প্রকৃতির এ রুদ্বরোষ হতে উপকূলীয় এলাকার জানমাল রক্ষায় পরবর্তীতে বেড়িবাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড নদীর তীর ঘেঁষে কোন কোন এলাকায় উঁচু বেড়িবাঁ নির্মান করলে দশমিনা উপজেলার চরবেষ্টিত এলাকাগুলোতে কোন পরিকল্পনা নেয়া হয়নি।