রাজশাহীতে করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে শুরু হয়েছে রাত ৮ টার মধ্যে দোকানপাট বন্ধের বিধি-নিষেধ। রাত ৮টার পর যেন শহরে কোন দোকানপাট-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা না থাকে তার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদারকি চালানো হয়েছে। শনিবার রাত ৮ টার পর এ বিধি-নিষেধ শুরু হয়েছে। রাজশাহী মহানগর ছাড়াও জেলার ৯ উপজেলায় শুরু হয়েছে এই বিধি-নিষেধ।
এর আগে শুক্রবার জেলা প্রশাসক আবদুল জলিলের সই করা এ-সংক্রান্ত একটি গণবিজ্ঞপ্তি শনিবার প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজশাহীর সকল বিপণিবিতান, শপিংমল, বিনোদন কেন্দ্র, রেস্তোরাঁসহ সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শনিবার থেকে রাত ৮টার মধ্যে আবশ্যিকভাবে বন্ধ থাকবে।’ গত বৃহস্পতিবার জেলা করোনা নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ গণবিজ্ঞপ্তি বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। এটির প্রচারে শুক্রবার রাতে শহরে মাইকিং করে পুলিশ।
এরপর শনিবার রাত ৮টা থেকে নগরীতে পুলিশকে আবারও হ্যান্ড মাইক হাতে দোকানপাট-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দিতে দেখা যায়। জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতও বিষয়টি তদারকি করছিল। নগরীর সাহেববাজার এলাকায় রাত ৮টার পরও দোকানপাট বন্ধ না করায় কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রাজশাহী জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, শনিবার রাজশাহী জেলায় ৯টি মামলায় ৯ জনের কাছ থেকে ৩ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। করোনা সচেতনতায় বিতরণ করা হয়েছে ৭৭ পিস মাস্ক। করোনা নিয়ন্ত্রণে এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। রাজশাহীতে চলতি মাসের মাঝামাঝি থেকে করোনার সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে। গত বৃহস্পতিবার সংক্রমণের হার হয়েছে প্রায় ৭৫ শতাংশ। সবশেষ শনিবার জেলার দুটি আরটি-পিসিআর ল্যাবে ৫৩৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে ৩৪০টিতে করোনা পজিটিভ রিপোর্ট হয়েছে। সংক্রমণের হার ৬৩ দশমিক ০৭ শতাংশ।
রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল বলেন, ‘সংক্রমণের তুলনায় এখন পর্যন্ত মৃত্যুহার অনেক কম। কিন্তু একটা জেলায় ৭১ পার্সেন্ট সংক্রমণের হার, এটা খুবই উদ্বেগের বিষয়। আমরা খুবই উদ্বেগের সঙ্গেই বিষয়টাকে নিয়েছি এবং মনিটরিং করছি। সে জন্য দিনের বেলায় সরকারের অন্যান্য বিধিনিষেধের পাশাপাশি রাতের জন্য স্থানীয়ভাবে আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ, আমরা চাই না লকডাউনের মত পরিস্থিতির সৃষ্টি হোক।’