নীলফামারীর সৈয়দপুরে কমেনি শীতের তীব্রতা।বরং আরো বেড়েছে ঘন কুয়াশা ও হাত পা ধরা তীব্র ঠান্ডা। জেঁকে বসা ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছে বিশেষ করে বয়স্ক মানুষ। ছিন্নমুল অসহায় মানুষ পড়েছে চরম দুর্ভোগে। শীতবস্ত্র বিতরণে তেমন কেউ এগিয়ে আসছেন না। সরকারীভাবেও শীতবস্ত্র বিতরণ তেমন একটা চোখে পড়ছে না। ফলে এ অঞ্চলে বাড়ছে ঘরে ঘরে শীতজনিত রোগ। প্রতিদিন শতাধিক রোগি ছুটছে হাসপাতালে। সৈয়দপুর ১শ শয্যা হাসপাতাল সুত্র জানায় প্রতিদিন শীতজনিত রোগি বাড়ছে হাসপাতালে। তাদের মধ্যে শিশু ও নারী বেশি।জ্বর,সর্দি-কাশি,হাঁচি,শরীর ব্যথা,শ্বাসকষ্ট দেখা দিয়েছে অধিক হারে। চিকিৎসকরা বলছেন, আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত কারণে গত দুই সপ্তাহ ধরে এমন অসুস্থতা দেখা দিয়েছে। জানা গেছে, প্রতিদিন শত শত রোগী হাসপাতালে জ্বর, সর্দি ও কাশি নিয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হচ্ছেন। এ ছাড়া ডাক্তারের প্রাইভেট চেম্বারেও রোগীর ভিড় দেখা গেছে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। শিশুদের জ্বর, সর্দির কারণে পরিবারও আতঙ্কিত। তবে চিকিৎসকরা বলছেন তীব্র ঠান্ডার কারণে জ্বর, সর্দি ও কাশি দেখা দিয়েছে।
সৈয়দপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ আলেমুল বাশার বলেন, এ আবহাওয়া মানিয়ে নিতে কিছুদিন সময় লাগবে। এরপর ঠিক হয়ে যাবে। তাছাড়া যেহেতু শিশুরা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে- এ কারণে শিশুদের প্রতি পরিবারের ও মায়েদের আরও বেশি যত্নবান হতে হবে। সৈয়দপুর ১শ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি রোগি পিংকি রানী রায় জানান,হঠাৎ করে তিনি সর্দি,কাশি,শরীরে ব্যথা,জ্বর ও শ্বাসকষ্ঠে মাথা ঘুরে পড়ে যান। দুদিন থেকে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এখন কিছুটা সুস্থ্য মনে করছেন তিনি। তবে বেশ কিছু পরীক্ষা দেয়া হয়েছে তাকে। হাসপাতাল থেকে বলা হচ্ছে ওই পরীক্ষাগুলো বাইরে থেকে করতে। তিনি একটি পরীক্ষা বাইরে থেকে করেছেন। এতে নেয়া হয়েছে ১ হাজার টাকা।
সৈয়দপুরে ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে তোলা হয়েছে ক্লিনিক,ডায়াগনষ্ঠিক সেন্টার। এগুলোতে দক্ষ টেকনিশিয়ান নেই। নেই পাশকৃত কোন নার্স বা আয়া। এখানে যে পরীক্ষা করা হয় তা নিয়েও রয়েছে অনেকের অভিযোগ। স্বাস্থ্য সেবার নামে চলছে বাণিজ্য। এগুলোর অনেকেই সরকারী নিয়মনীতি উপেক্ষা করেছে। জেলা সিভিল সার্জনের এগুলো দেখার দায়িত্ব। কিন্তু তিনিও কেন যেন নিরব আছেন।