ইয়ন মরগানের ইনজুরিতে হুট করেই নেতৃত্বের ভার চেপে বসেছিল মঈন আলীর উপর।তার অনুপস্থিতিতে নেতৃত্ব-ভার সামলেছেনও মঈন আলী। ব্যাট হাতে ছক্কা বৃষ্টির পর বল হাতেও রাখলেন অসাধারণ অবদান এই ইংলিশ অলরাউন্ডার। তাতে সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩৪ রানে হারিয়েছে সফরকারী দল। ৫ ম্যাচের সিরিজ এখন ২-২ সমতায়।
কেনসিংটন ওভালে মঈনকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে দেখা গেছে। ওপেনার জেসন রয়ের ৪২ বলে ৫২ রানের পর তাণ্ডব চালিয়েছেন মূলত মঈন।
৮ রানে টম ব্যান্টনের সাজঘরে ফেরার পর রয়ের ৩৪ বলে করা ফিফটি শুরুর ভিত গড়ে দেয় ইনিংসের। জেমস ভিন্স সঙ্গী হলে একটা পর্যায়ে তৈরি হয় আধিপত্য। তবে কিয়েরন পোলার্ড ও আকিল হোসেন পর পর রয়, ভিন্সের উইকেট তুলে নিয়ে ইংল্যান্ডকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাদের ছাপিয়ে তখন সব আলো কেড়ে নেন মঈন। ইংল্যান্ডের মারা ১৫টি ছক্কার ৭টিই তখন আসে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের কল্যাণে। ২৮ বলে ৬৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন ৭ ছক্কায়। তার মধ্যে জেসন হোল্ডারের ১৮তম ওভারে মেরেছেন টানা ৪টি! তাতে টস হেরে ব্যাট করতে নামা ইংল্যান্ড ৬ উইকেটে পেয়েছে ১৯৩ রান। ক্যারিবীয়দের হয়ে ৪৪ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন হোল্ডার।
জবাবে ৫ উইকেটে ১৫৯ রান করতে পারে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অথচ শুরুটা করেছিল জয়ের সম্ভাবনায়। পাওয়ার প্লেতে কোনও উইকেট না হারিয়ে তুলে ফেলে ৫৬ রান। ওপেনার কাইল মেয়ার্স ২৩ বলে করেছেন ৪০ রান! এই বিধ্বংসী জুটি ভেঙেই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন মঈন। দুই ওপেনারের উইকেট নিয়েছেন এই ইংলিশ অলরাউন্ডার। হোল্ডার-পোলার্ড মিলে সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু মাঝের ওভারগুলোয় শ্লথ হয়ে যাওয়ায় ছিটকে যেতে হয়েছে শেষ পর্যন্ত। হোল্ডর ২৪ বলে ৩ ছক্কায় ৩৬ রান করে ফিরেছেন। অধিনায়ক পোলার্ড ১৬ বলে ক্রিজে ছিলেন ১৮ রানে।
ব্যাট হাতে অসাধারণ ভূমিকার পর বল হাতে ২৮ রানে দুটি উইকেট নিয়েছেন মঈন। ম্যাচসেরাও হন তিনি।
ইংল্যান্ড: ২০ ওভারে ১৯৩/৬ (রয় ৫২, ব্যান্টন ৪, ভিন্স ৩৪, মইন ৬৩, লিভিংস্টোন ১৬, বিলিংস ১৩*, সল্ট ০, জর্ডান ০*; কটরেল ৪-০-৩৪-০, হোল্ডার ৪-০-৪৪-৩, শেফার্ড ৩-০-৪০-১, ড্রেকস ২-০-২৬-০, আকিল ৩-০-২৩-১, পোলার্ড ৪-০-২৩-১)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২০ ওভারে ১৫৯/৫ (কিং ২৬, মেয়ার্স ৪০, পুরান ২২, পাওয়েল ৫, হোল্ডার ৩৬, পোলার্ড ১৮*, ব্রাভো ৩*; টপলি ৪-০-২১-১, মইন ৪-০-২৮-২, মিলস ২-০-২৩-০, জর্ডান ৪-০-৩০-০, রশিদ ৪-০-২৮-১, লিভিংস্টোন ২-০-১৮-১)।
ফল: ইংল্যান্ড ৩৪ রানে জয়ী।
সিরিজ: ৫ ম্যাচ সিরিজে ২-২ সমতা।
ম্যান অব দা ম্যাচ: মইন আলি।