পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন মামলায় সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার বিবিয়ানা কলেজের অধ্যক্ষ নৃপেন্দ্র চন্দ্র দাস গ্রেফতার হয়ে জেলা হাজতে থাকায় তাকে দায়িত্ব হতে বরাখাস্থের আবেদন করা হয়েছে। আজ রোববার ৩০ জানুয়ারি মো. জুয়েল আহমদ ও ফজলে রাব্বি কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি বরাবরে এ আবেদন করেন।
আবেদনে তারা উল্লেখ করেন, গক ২৪ জানুয়ারি থেকে কলেজ অধ্যক্ষ পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন মামলায় জেলা হাজতে রয়েছেন। মামলা নং ৯৮/২০২০। তিনি সরকারী খাত হতে একজন বেতনভূক্ত কর্মচারী হিসেবে জেল হাজতে থাকাবস্থায় চাকরিবিধি অনুসারে তিনি স্বপদে থাকতে পারেন না। তাই তাকে অধ্যক্ষ পদ থেকে বরখাস্থ করা উচিত। তার বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অডিট রিপোর্টও তারা আবেদনের সাথে সংযুক্ত করেছেন। তারা আবেদনের কপি সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক ও শিক্ষ), জেলা শিক্ষা অফিসারকের প্রেরণ করেছেন।
২০২০ সালের ১৫ অক্টোবর অধ্যক্ষ ওতার ভাইয়ের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন মামলটি দায়ের করেন দিরাই উপজেলার একজন নারী। আদালত সূত্রে জানা যায়, দিরাই উপজেলার বিবিয়ানা কলেজের অধ্যক্ষ নৃপেন্দ্র চন্দ্র দাসের সাথে মামলার বাদী ওই নারীর প্রেমের সম্পর্ক থাকাকালীন গোপন ক্যামেরায় ধারণ করা অন্তরঙ্গ মূহূর্তের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করেন। এই ঘটনার পর ২০২০ সালের ১৫ অক্টোবর দুই ভাইকে আসামি করে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন মামলা করেন ওই নারী। পরবর্তীতে উচ্চ আদলত থেকে জামিন নেন মামলার দুই আসামি। জামিনের মেয়াদান্তে ২৪ জানুয়ারি দুপুরে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদলতে হাজির হলে বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।