ঝিনাইদহের হরিণাকু-ুতে ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা সংক্রমণের হার। গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে জ্বর,সর্দি-কাশিসহ ঠান্ডাজনিত নানা রোগ। আর করোনা সচেতনতায় সামাজিক দুরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি না মানা, মাস্ক পরিধান না করাসহ মানুষের বেপরোয়া চলাচলের ফলে উদ্বেগ বাড়ছে সাধারণ মানুষের মাঝে। সচেতনতায় প্রশাসনের উদ্যোগ ও অভিযান কাজে আসছে না কিছুতেই। হাটহাজার, রাস্তাঘাট, চায়ের দোকান, শহর ও গ্রামগঞ্জের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে ঠেড়াঠেলি আর হুড়োহুড়ির যেন শেষ নেই। শপিংমলগুলোতেও মানা হচ্ছে স্বাস্থবিধি। মাস্ক পরিধান ছাড়াই অবাধে চলাফেরা করছেন সাধারণ মানুষ। ফলে দিনকে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা সংক্রমণ।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে গেছে, গত এক সপ্তাহে ৫৩টি নমুনা পরীক্ষা করে ২৭জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। পরীক্ষা বিবেচনায় সংক্রমণের হার ৫০শতাংশের ওপরে।
এদিকে সচেতন মহলের দাবি, করোনা পরীক্ষায় মানুষের মাঝে ব্যাপক অনীহা রয়েছে। পরীক্ষা বাড়লে সংক্রমণের হার আরও বাড়বে। মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি না হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে।
আসাদুজ্জামান আলম নামে একজন স্কুল শিক্ষক বলেন, হাটবাজার, শপিংমল, রাস্তাঘাট, চায়ের দোকান আর মোড়ে মোড়ে মানুষের উপচেপড়া ভিড়। কারও মধ্যে কোন সচেতনতা নেই। অধিকাংশ মানুষের মুখে নেই মাস্ক। স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। প্রশাসনের সাথে লুকোচুরি করছেন সাধারণ মানুষ। এ অবস্থা চলতে থাকলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন বাজার ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ মানুষের মুখে নেই মাস্ক। নেই সামাজিক দুরত্ব বা স্বাস্থ্যবিধির বালাই। গাদাগাদি হুড়োহুড়ি করে চলছে কেনাকেটা আর চলাফেরা।
ব্যস্ততম হরিণাকু-ু বাজার এলাকায় আবদুস সাত্তার নামে এক ব্যক্তি এসেছেন কেনাকেটা করতে। মাস্ক পরিধান করেননি কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাবা আমি একজন কৃষক, সারাদিন হাড়ভাঙা খাটুনি খাটি। করোনা আমার কাছে আসবে না।
মুখে মাস্ক ছাড়া বেচাকেনায় ব্যস্ত শরিফুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী। জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাস্ক পকেটে আছে, পরতে মনে নেই।
আতিয়ার রহমান নামে একজন পল্লী চিকিৎসক জানান, আামার ফার্মেসিতে প্রতিদিন ৪০/৫০ জন রোগী আসেন। এদের অধিকাংশই জ্বর, সর্দি-কাশিসহ ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত। হাসপাতালে গিয়ে করোনা পরীক্ষার কথা বললে সবাই সটকে পড়েন।
ইউএনও সৈয়দা নাফিস সুলতানা বলেন, করোনা প্রতিরোধে চলছে সচেতনতামূলক নানা র্কমসূচী। সাথে বিধিনিষেধ মানতে প্রতিদিন চলছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম।