কৃষক আবু সাঈদ ৮ শতক জমিতে বীজতলা দিয়েছিলেন, চারাও হয়েছিল ভালো। আশা ছিল এই চারা দিয়ে কমপক্ষে ১২ বিঘা জমিতে ধানের চাষ করবেন। যা তার বছরের অর্ধেক সময় খাওয়া আর বিক্রির মাধ্যমে সংসারে খরচ মেটাবেন। এখন তার সব আশা মুহুর্তেই শেষ হয়ে গেছে। রাতে কে বা কারা তার বীজতলায় আগাছা মারা ওষুধ স্প্রে করে সব মেলে ফেলেছে। ঘটনাটি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ফারাসপুর গ্রামের মাঠে। ফারাসপুর গ্রামের মৃত আবদুস সাত্তার এর পুত্র কৃষক আবু সাঈদ জানান, তার মাঠে ১০ বিঘা ধান চাষের জমি রয়েছে। এই জমিতে ইরিবোরো ধান গাছ রোপনের জন্য ৮ শতক জমিতে বীজ ছিটিয়েছিলেন। তার সঙ্গে তাদের গ্রামের ওবাইদুর রহমানের ২ বিঘা চাষের জমি রয়েছে। এক মাস হলো বীজতলা তৈরী করে সেখানে ১০০ টাকা কেজি দরে ধানের বীজ ক্রয় করে বপন করেন। গোটা জমিতে ৬০ কেজি বীজ ছিটিয়েছেন। এরপর সার দেওয়া সহ নানা ভাবে যতœ করে চারাগুলো বড় করেছেন। এগুলো করতে তার এখন পর্যন্ত প্রায় ১২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। একটাই আশা এই চারা দিয়ে জমি চাষ করে ফসল ফলাবেন। যে ফসল তার পরিবারের লোকজনের খাবার জুটাবে পাশাপাশি কিছু ধান বিক্রি করে সংসার খরচ করবেন। কিন্তু এক রাতেই তার সব আশা শেষ হয়ে গেছে বৃহস্পতিবার। আবু সাঈদ জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে তিনি বীজতলায় পানি দেওয়ার জন্য গেলে দেখতে চারা লাল হয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থা দেখে হতাশ হয়ে পড়েন। প্রথমে বুঝতে পারছিলেন না কেন এমনটি হচ্ছে। পরে সকালে মাঠে গিয়ে দেখতে পান গোটা জমির ধানের চারা মারা গেছে। চারাগুলো সোনালী রং এ ধারন করেছে। তখন বুঝতে পারেন যে কেউ তার জমিতে ওষুধ স্প্রে করে চারা মেরে দিয়েছে। আবু সাঈদ জানান, তিনি বুঝে উঠতে পারছেন না কারা এই জঘন্য কাজটি করেছ। তবে যারাই করুক তাকে আর্থিক ভাবে ক্ষতি করতে এই কাজটি করেছে বলে ধারনা করছেন।