কেশবপুরে সোমবার বিকেলে রেলপথ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। কেশবপুর প্রেসক্লাবের উদ্যোগে শহরের শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা দৌলত বিশ্বাস চত্বরে ওই মানববন্ধন করা হয়।
কেশবপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আশরাফ-উজ-জামান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন, কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এইচ এম আমির হোসেন, সাংগঠনিক স¤পাদক গৌতম রায়, কেশবপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ স¤পাদক জয়দেব চক্রবর্ত্তী, সাবেক সাধারণ স¤পাদক মোতাহার হোসাইন, উপজেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ স¤পাদক প্রভাষক মশিউর রহমান, উপজেলা কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ স¤পাদক মফিজুর রহমান নান্নু, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক বি এম শহিদুজ্জামান শহিদ, প্রভাষক কানাই লাল ভট্টাচার্য্য, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ওয়ার্ডের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ আকমল আলী, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান খান মুকুল প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, কেশবপুর প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ স¤পাদক উৎপল দে।
বক্তারা বলেন, নাভারন হতে সাতক্ষীরা পর্যন্ত ৪৮ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে। যার কার্যক্রম অতি দ্রুত শুরু হবে। যে পথে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু, বসুন্দিয়া, যশোর, নাভারন হয়ে রেল সাতক্ষীরা যাবে। বসুন্দিয়া হতে নাভারনের দূরত্ব ৪৪ কিলোমিটার। আবার নাভারন হতে সাতক্ষীরা ৪৮ কিলোমিটার। বসুন্দিয়া হতে সাতক্ষীরার দুরত্ব হবে ৯২ কিলোমিটার। কিন্তু যদি এই রেলপথটি পরিবর্তন করে বসুন্দিয়া হতে মণিরামপুর, কেশবপুর, সাগরদাঁড়ি হয়ে সাতক্ষীরায় নির্মাণ করা যায়, তবে বসুন্দিয়া হতে সাতক্ষীরার দুরত্ব হবে মাত্র ৪৯ কিলোমিটার।
বক্তারা আরও বলেন, প্রস্তাবিত সাতক্ষীরাগামী রেলপথটি যদি মনিরামপুর-কেশবপুর-সাগরদাঁড়ি হয়ে সাতক্ষীরা নির্মিত হয়, তাহলে মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মভূমি সাগরদাঁড়ি পর্যটনে এগিয়ে যাবে এবং পর্যটকদের ভ্রমণ সুবিধা বাড়বে। অর্থনীতি ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য রেলপথ সকলের প্রাণের দাবি।