সাতক্ষীরার কলারোয়ার সদর হাসপাতালের সামনে পরিবেশ অধিদপ্তরের আদেশ অমান্য করে হাফিজা ক্লিনিক এ- ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার উদ্বোধণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১জানুয়ারী) সকালে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু ও কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ নাছির উদ্দীন মৃধাকে ভুল বুঝিয়ে তাদের ডেকে নিয়ে ওই ক্লিনিক উদ্বোধন করানো হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন-স্থানীয় কিছু পল্লী চিকিৎসক ও কলারোয়া সরকারী হাসপাতালের পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের ডিকে সমাদ্দার। ক্লিনিক উদ্বোধনের সময় কোন নার্স বা চিকিৎসকদের উপস্থিতি দেখা যায়নি। এদিকে কলারোয়া সরকারী হাসপাতালের সামনে ও বসত বাড়ির সন্নিকটে অবৈধ ক্লিনিক স্থাপন ও পৌরসভা কর্তৃক অনুমোদনকৃত ভবনের নকশা পরিবর্তন করে পরিচালনা ও পরিবেশ দূষণ কল্পের অভিযোগ করেন কলারোয়া পৌর সদরের তুলসীডাঙ্গা গ্রামের আনোয়ারুল ইসলামের ছেলে আল মামুন। তার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১৮জানুয়ারী-২০২২ তারিখে সাতক্ষীরা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সরদার শরীফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি নোর্টি প্রদান করেন। তিনি ওই নোর্টিশে বলেন- ক্লিনিক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে এ কার্যালয়কে তা লিখিত ভাবে অবহিত করার জন্য পূর্ণঃরায় আপনাকে নির্দেশ প্রদান করা হলো। অন্যথায় আপনার বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের এনফোর্সমেন্ট টিম কর্তৃক মামলা দায়ের, মালামাল বাজেয়াপ্ত ও জরিমানা আদায়সহ একতরফা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। সেখানে আরো বলা হয়-বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন-১৯৯৫(সংশোধিত ২০১০) এবং পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা ১৯৯৭অনুযায়ী শস্তিযোগ্য অপরাধের কথা উল্লেখ্য করেন। সাতক্ষীরা পরিবেশ অধিদপ্তর ভবন মালিক আলহাজ¦ আবদুর রহমান সরদার, ভবন ভাড়াটিয়া হাবিবুর রহমান, আলাউদ্দীনকে এই আদেশ দেন। এই কপির আদেশ খুলনা পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তরের ঢাকা সদর দপ্তরের মনিটরিং এ- এনফোর্সমেন্ট পরিচালক, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার, কলারোয়া পৌর সভার মেয়র বরাবরে প্রেরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রফেসর আবদুর রহিম ও প্রভাষক আল মামুন বলেন-জনবসতি এলাকায় অবৈধভাবে ক্লিনি নির্মান করা হয়েছে। তারা এই অবৈধ ক্লিনিক বন্ধের জন্য খুলনা পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।