গত ১০ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮ টায় অভয়নগর উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের নব-নির্বাচিত সদস্য উত্তম সরকারকে দুস্কৃতকারীরা গুলি করে হত্যা করে।
মামলাটি চাঞ্চল্যকর হওয়ায় জেলা পুলিশ সুপার মামলাটি যশোর জেলা গোয়েন্দা শাখাকে তদন্তের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশ হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে একটি চরমপন্থী দলের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার ও তাদের হেফাজতে থাকা অস্ত্র, গুলি, বিস্ফোরকদ্রব্য, মোবাইল ফোন ও মটরসাইকেল জব্দ করে এবং তাদের দেয়া তথ্যমতে ৩১ জানুয়ারি বিকাল সাড়ে ৫টা হতে পহেলা ফেব্রুয়ারী ভোর সাড়ে ৬টা পর্যন্ত অভয়নগর ও মনিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত ও মূল ঘাতক মনিরামপুর উপজেলার বাসিন্দা অজয় বিশ্বাস (১৯), একই উপজেলার পলাশ পাড়ে (৩২) ও অভয়নগর উপজেলার সাধন বিশ্বাস (২১) চরমপন্থি দলের এই ৩ সদস্যকে গ্রেফতার ও তাদের হেফাজতে থাকা উত্তম সরকারকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, ধৃত আসামিরা একটি সংঘবদ্ধ চরমপন্থী দলের সক্রিয় সদস্য। তারা তাদের দলীয় ছদ্মনাম ব্যবহার করে দেশের দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলের জেলা সমুহে বিশেষ করে ফুলতলা, অভয়নগর, মনিরামপুর, কেশবপুর উপজেলা সহ আশপাশের জেলা সমুহে বিভিন্ন মাছের ঘের দখল, চাঁদাবাজি, হত্যাকান্ড ভাড়ায় হত্যাকান্ড সহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকা- পরিচালনা করে আসছিলো। অবৈধ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারে এসআই শামীম হোসেন বাদী হয়ে মনিরামপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
যশোর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক শেখ শাহিনুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, উত্তম সরকার হত্যায় জড়িত ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত থাকবে। গত ১০ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টায় অভয়নগর উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের নব-নির্বাচিত সদস্য উত্তম সরকারকে দুস্কৃতকারীরা গুলি করে হত্যা করে। মামলাটি চাঞ্চল্যকর হওয়ায় জেলার পুলিশ সুপার মামলাটি যশোর জেলা গোয়েন্দা শাখাকে তদন্তের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।
যশোর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক শেখ শাহিনুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, উত্তম সরকার হত্যায় জড়িত ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত থাকবে।