আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি রাজশাহীর তানোর উপজেলার সরনজাই ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ছাড়াই ইউনিয়ন পরিষদের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার রাতে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশনের উপসচিব আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, নির্বাচন যে পর্যায় থেকে স্থগিত করা হয়েছিল। সরনজাই ইউনিয়নের এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নৌকার প্রার্থী আবদুল মালেকের অংশগ্রহণের আইনগত সুযোগ নেই বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এর আগে, দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে গত বছরের ১১ নভেম্বর তানোরের সরনজাই ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা ছিল। সব প্রস্তুতিও সম্পূর্ণ করেছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু ভোটের আগের দিন সন্ধ্যায় ভোটগ্রহণ স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।
সে সময় রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাচন অফিসার গোলাম মোস্তফা জানান, প্রার্থিতা নিয়ে আইনি জটিলতায় এই ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
জানা গেছে, স্থগিত থাকা সরনজাই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ছিলেন পাঁচ প্রার্থী। এর মধ্যে তিনজনই স্বতন্ত্র। তাঁরা হলেন, চশমা প্রতীকে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোজাম্মেল হক, আনারস প্রতীকে ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মতিউর রহমান, মোটরসাইকেল প্রতীকে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা সাইদুর রহমান সরকার এবং হাতপাখা প্রতীকে অংশ নেন ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী সাফিউল ইসলাম।
তবে ঋণ খেলাপি থাকায় উপজেলা নির্বাচন অফিসেই প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যায় নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুল মালেকের। পরে উচ্চ আদালতে গিয়ে প্রার্থিতা ফিরে পান তিনি। কিন্তু পরে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা সাইদুর রহমান সরকার বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের নজরে আনলে আপিল বিভাগের চেম্বার জজের আদালতের নির্দেশ আটকে যায় আবদুল মালেকের প্রার্থিতা।
উল্লেখ্য, সরনজাই ইউনিয়নে সংরক্ষিত সদস্য পদে ১০ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ২৩ জন প্রার্থী আছেন ভোটের মাঠে। এই ইউনিয়নে মোট ভোটার ৮ হাজার ১২১ জন। এর মধ্যে ৩ হাজার ৯৫৮ জন পুরুষ এবং ৪ হাজার ১৬৩ জন মহিলা।