নীলফামারীর ডিমলায় মাদ্রাসা ও এতিম খানার শিক্ষকের বেত্রাঘাতে ছাত্র গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের শোভানগঞ্জ বালাপাড়া মদিনাতুল উলুম হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানায় জলঢাকা উপজেলার ধর্মপাল রশিদপুর গ্রামের ভ্যানচালক আবদুল করিমের ছেলে আসাদুল্লাহেল গালিব (১১) পড়ালেখা করে। ওই মাদ্রাসার আরবি শিক্ষক আলমগীর হোসেন প্রায়দিন কারণে অকারনে ছাত্র গালিবকে বেত্রাঘাত করতেন। প্রতিদিনের ন্যায় শনিবার গালিব পড়ালেখা শেষে মাদ্রাসা মাঠে লেখা করছিলো। ঠিক সেই সময় আরবি শিক্ষক তাকে ডেকে নিয়ে কোন দোষত্রুটি ছাড়াই শরীরের বিভিন্ন জায়গায় বেধরক বেত্রঘাত করে। বেত্রাঘাতের কারণে ভয়ে আহত গালিব মাদ্রাসা হতে পালিয়ে ভুলক্রমে নিজ বাড়ির ঠিকানা হারিয়ে ডোমার উপজেলার গোমনাতি ইউনিয়নের আমবাড়ী এলাকায় পালিয়ে যায়। সেখানকার স্থায়ী বাসিন্দারা গালিবকে তাদের হেফাজতে রেখে তার বাবাকে খবর দিলে গালিবের পিতা সন্তানকে নিয়ে ডিমলায় এসে বিষয়টি মৌখিকভাবে থানায় অবগত করে এবং আহত ছেলেকে চিকিৎসার জন্য ডিমলা হাসপাতালে ভর্তি করায়। খবর পেয়ে মাদ্রাসার পরিচালক ডিমলা উপজেলার নাউতারা ইউনিয়নের কৃষি ব্যাংক শাখায় কর্মরত সাদেকুল ইসলাম গালিবের পিতাকে হুমকি ধামকি দিয়ে হাসপাতাল থেকে আহত গালিবকে বাড়িতে নিয়ে যেতে বাধ্য করান। এদিকে শিক্ষকের বেত্রাঘাতে আহত গালিব বলেন, শুধু আমাকে নয় ওই মাদ্রাসার বেশিরভাগ ছাত্রকে অভিযুক্ত শিক্ষক প্রায় সময় কারণে অকারনে বেত্রাঘাত করে। আমি ওই শিক্ষকের বিচার চাই। ভুক্তভোগি ছাত্রের অভিভাবকরা মাদ্রাসার পরিচালক সাদেকুলকে বিচার দিলে তিনি প্রভাব খাটিয়ে অভিভাবকদের হুমকি ধামকি দিয়ে ছাত্র নির্যাতনের বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে আসছেন।
মাদ্রাসার পরিচালক সাদেকুল অভিভাবকদের হুমকির অস্বীকার করে বলেন, অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে এখন নয় চলতি বছরের জুন মাসে বরখাস্ত করা হবে। গালিবের পিতা অসহায় ভ্যান চালক আবদুল করিম পরিচালকের হুমকি ধামকির ভয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারছেন না। এ বিষয়ে ডিমলা থানার ওসি (তদন্ত) বিশ্বদেব রায় বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আহত ছাত্রটিকে নিয়ে তার পিতা থানায় এসেছিলো। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।