বরিশালের উজিরপুরে গৃহবধুকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে এক যুবক। অভিযুক্ত প্রভাবশালী হওয়াতে মামলা করতে পারছেনা ভুক্তভূগী। এলাকার মাতুবরেরা শালিস মিমাংশার চেষ্টাচলছে।
গতকাল ২ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার ভূক্তভোগী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ওটরা গ্রামের দিলীপ হাওলাদারের ছেলে এক সন্তানের জনক সৌরভ হাওলাদার (৩৫) পার্শ্ববর্তী এলাকার গৃহবধুকে দীর্ঘদিন ধরে উত্তক্ত করে আসছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় ৩০ জানুয়ারী সন্ধ্যার পরে টিউবয়েলে পানি নিতে আসলে সৌরভ হাওলাদার ওই গৃহবধর মুখ চেপে ধরে জোর পূর্বক পাশের বাগানে নিয়ে শ্লীলতাহানি ঘটিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় গৃহবধুর ডাক চিৎকারে স্থানীয় বাসিন্দারা এগিয়ে আসলে সৌরভ পালিয়ে যায়।
ওই গৃহবধু জানান, মেয়ে ও আমাকেসহ সৌরভ দীর্ঘদিন পর্যন্ত উত্তক্ত করে আসছে। আমি এর প্রতিবাদ করায় রোববার সন্ধায় আমাকে জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। আমি কিছুটা আহত হলে উজিরপুর হাসপাতালে চিকিৎসা নেই। তিনি আরো জানান, লম্পট সৌরভ এলাকার বিভিন্ন গৃহবধু ও যুবতী মেয়েদের উত্তক্ত করে চলেছে। এর ভয়ে মামলাত দুরের কথা কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। আমাদের পরিবার বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে গত ৩১ জানুযারী বিকেলে ওই বাড়িতে শালিস মিমাংশার বৈঠক বসায় স্থানীয় প্রভাবশালী বাবু মুন্সি, রিয়াজ হাওলাদার, মাহফুজ, ইউপি সদস্য রিপন প্রমূখ।
এ ব্যাপারে বাবু মুন্সি জানান, ওই পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই বাড়িতে গিয়েছিলাম। অভিযুক্ত সৌরভকে না পাওয়ায় শালিস হয়নি। ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রিপন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, বিষয়টির সত্যতা যাচাই করতে ওই বাড়িতে গিয়েছিলাম, কোন শালিস বৈঠকের জন্য নয়।
এবিষয়ে একাধীকবার অভিযুক্ত সৌরভ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তাকে নাপওয়া যায়নি বলে তার বক্তব্য দেওয়া যায়নি।
এব্যাপারে উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আলী আর্শাদ জানান, বিষয়টি আমাদের নজরে আসেনি। যদি এ ধরণের কোন অভিযোগ পাই অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।