সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে চুক্তিভিত্তিক ২৮ কর্মচারীর বেতন ভাতা বন্ধ হয়ে গেছে। চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও তাদের রাখা হয় কর্মস্থলে। ফলে তাদের বেতনভাতাদি পরিশোধ নিয়ে দেখা দেয় জটিলতা। যার কারণে ওই ২৮ কর্মচারী মাসের পর মাস বেতন না পাওয়ায় তাদের পরিবারে চলছে দুর্দশা। এরইমধ্যে দেয়া হয়েছে নতুন করে টেন্ডার। নতুন লোক টেন্ডার পেলে হয়তো ওই সকল কর্মচারী চাকুরী হারাতে পারে। বর্তমানে একদিকে বকেয়া বেতন অন্যদিকে চাকুরী হারানোর ভয়ে দিশেহারা ওই কর্মচারিরা।
আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ২০২০ সালের জুলাই মাসে ওইসকল কর্মচারীদের নিয়োগ দেয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এদের বেতন বাবদ সরকার বরাদ্দ দেয় ১ কোটি টাকা। গত বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত বেতন পরিশোধে ব্যয় হয় ৬৮ লাখ টাকা। কিন্তু ২০২১ সালের জুলাই মাস থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৮ কর্মচারী পায়নি তাদের বেতন। আউটসোর্সিং কর্মচারিরা জানান,আমরা ঠিকাদারের মাধ্যমে নিয়োগ পেয়েছি, মাস শেষে বেতন পরিশোধ করবেন ঠিকাদার। কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বেতন না দেয়ায় আমরা পড়েছি বিপাকে। এরইমধ্যে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নতুন করে কর্মচারী সরবরাহে টেন্ডার আহ্বান করেছেন।ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নর্থবেঙ্গল সিকিউরিটি সার্ভিসেসের সত্ত্বাধিকারী আবদুল ওয়াদুদ জানান, এক বছরের চাকুরী, তারা বেতনও পেয়েছে এক বছরের। তারপরও নতুন টেন্ডার না হওয়ায় তাদের বাদ দেয়া হয়নি। বরাদ্দ পেলেই বকেয়া টাকা দেয়া হবে।ইতোমধ্যে টেন্ডার হয়েছে, আবারও কাজ পাবো। তখন আর কোন সমস্যা থাকবেনা।
কর্মচারীদের বেতন বকেয়া ও নতুন টেন্ডার আহ্বান বিষয়ে জানতে চাইলে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালের উপ-পরিচালক নবিউর রহমান কর্মচারীদের বেতন না পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ২০২১ সালের বরাদ্দকৃত টাকার মধ্যে বেতন বাবদ ৬৮ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে গত জুন মাস পর্যন্ত।
জুলাই মাস থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বেতন পরিশোধ বাবদ ৩২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বরাদ্দকৃত এ অর্থ ছাড় করার দায়িত্ব ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের। কর্মচারীদের বেতন পরিশোধের দায়দায়িত্বও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের। আমরাও অফিসিয়ালি চিঠি চালাচালি করছি। ইতোমধ্যে মহা-পরিচালক (স্বাস্থ্য) বরাবরে অর্থ ছাড়ের প্রয়োজনীয়তা জানিয়ে পত্র দেয়া হয়েছে।
এদিকে ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসও শেষ। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মেয়াদ ছিলো ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ফলে টেন্ডার দিতে হলো নতুন করে। ৩০ জানুয়ারি আউটসোর্সিং কাজের জন্য টেন্ডার ড্রপ করা হয়। এতে ৬টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করেছে। দ্রুতই এ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। জনবল বাড়াতে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন পদে চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হয় ২০২০ সালের জুলাই মাসে। শূন্য পদগুলো হলো ওয়ার্ড বয়, টিকেট ক্লার্ক, ওটি বয়, ইলেকট্রিশিয়ান ও মালি।