একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না। এ কান্না যেন থামেই না। সড়ক দুর্ঘটনায় পা হারিয়ে জীবনটাই ওলট পালট করে দিয়েছে মিন্টু মন্ডলের। পঙ্গুত্ব বরন করে এখন অসহায় জীবন যাপন করতে হচ্ছে তাকে।
ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার কাশিমা গ্রামের হযরত আলী ম-লের ছেলে মিন্টু মল্ডল। বয়স ৪০ বছর। ২ ছেলে, ১ মেয়ে আর স্ত্রীকে নিয়ে ভ্যান চালিয়ে জীবীকা নির্বাহ করছিলেন মিন্টু। কিন্তু প্রায় ২ বছর আগে কালীগঞ্জ উপজেলার দুলালমুন্দিয়া নামক স্থানে একটি গ্যাস বোঝায় ট্রাক তাকে ধাক্কা মারে। চুর্ণবিচুর্ণ হয়ে যায় মিন্টুর ভ্যান। পায়ের উপর দিয়ে চলে যায় ট্রাকের একটি চাকা। কেটে ফেলতে হয় ডান পা। অপর একটি পা ও বুকের ৮ টি হাড় ও মাজার হাড় ভেঙ্গে যায়। চিকিৎসা করতে ব্যয় হয় ৩ লাখ টাকা। সমাজের মানুষের সহযোগিতা চিকিৎসা করে কোন রকম জীবনে বেঁচে গেলেও সংসার জীবনে চলছে দূর অবস্থা। আয়ের একটি মাত্র অবলম্বল ভ্যান হারিয়ে এখন খেয়ে না খেয়ে চলতে হচ্ছে মিন্টুর পরিবারের। কিন্তু অসহায় মিন্টু ভিক্ষা করতে চান না। পরিশ্রম করে খেতে চান। এজন্য তার প্রয়োজন একটি চার্জার ভ্যান। ভ্যান চালিয়ে আয় করে সংসার চালাতে চান। পরিবারের সদস্যদের মুখে তুলে দিতে চান অন্ন।
মিন্টু মন্ডল জানান, তিনি ভাল থাকা অবস্থায় ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাতেন। দুই বছর আগে সড়ক দুর্ঘটনায় পা হারিয়ে পঙ্গু হয়ে বাড়িতেই বসে আছেন। এজন্য আয়ের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। সংসারে দুই ছেলে আর স্ত্রীকে নিয়ে তিনি বড়ই অসহায় অবস্থায় রয়েছেন। বড় ছেলে সাগর মন্ডল কালীগঞ্জ উপজেলা জামে মসজিদে মুয়াজ্জিন হিসেবে সামান্য কিছু টাকা পান তাই দিয়েই চলছে তাদের সংসার। ছোট ছেলে আজিম মন্ডল ক্লাস সিক্সে পড়ে। আর মেয়ে সুমাইয়া খাতুনের ৯ মাস আগে বিয়ে হয়ে গেছে।
তিনি আরো জানান, পঙ্গু হওয়ার কিছুই করতে পারেন না। কিন্তু পেট তো আর তা মানে না। তাই মাঝে মধ্যে অন্যের চার্জার ভ্যান ভাড়া করে চালায়। তাতে যা আয় হয় তাই দিয়েই বাজার করি।
সমাজের হৃদয়বান বিত্তবানরা এগিয়ে আসতে পারেন মিন্টু মন্ডলের পাশে। তাদের সহযোগিতায় একটি ভ্যান হলে মিন্টু মন্ডল পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে মারবেন। আসুন আমরা মিন্টুর পাশে দাঁড়িয়ে তাকে সহযোগিতা করি।