মোবাইল ফোনে গেমস খেলতে না দেওয়ায় মায়ের সাথে অভিমান করে ঘরের ভিতর থাকা মইয়ের সাথে মায়ের উড়না গলায় পেঁচিয়ে ইয়ামিন নামে সাত বছরের এক শিশু ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। শুক্রবার সকাল সোয়া আটটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌর এলাকার আলীয়াবাদ গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ইয়ামিন আলীয়াবাদ গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী গোলাম মোস্তফার ছেলে ও স্থানীয় জাহেরা খাতুন ইসলামিয়া হাফিজিয়া মাদরাসার নূরানী শাখার ছাত্র। পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে নবীনগর উপজেলা সরকারী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় ইয়ামিনের পরিবারের কান্নায় গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শতশত লোকজন ইয়ামিনের লাশ দেখতে তাদের বাড়িতে ভীর জমেছে।
পুলিশ হাসপাতাল থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে। পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় এবং লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের সদস্যদের কাছে মরদেহটি হস্তান্তর করে দিয়েছে পুলিশ। জুম্মা নামাজের পর জানাজা শেষে আলীয়বাদ কবর স্থানে তাকে দাফন করা হয়।
পরিবার ও থানা পুলিশ সূত্রে জানায়, আলীয়বাদ জাহেরা খাতুন ইসলামিয়া হাফিজিয়া মাদরাসার নূরানী শাখার ছাত্র ইয়ামিন, আজ মাদ্রাসা বন্ধ থাকায় বাড়িতে চলে আসে। বাড়িতে এলে মায়ের কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে প্রায় সময় গেইমস খেলতো। আজ সকালে ইয়ামিন তার মা সিমা বেগমের কাছে গেইমস খেলতে মোবাইল চাইলে এ সময় সিমা বেগম বলেন, পড়ার সময় মোবাইল দেওয়া যাবে না। এতে করে পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে। এই কথায় ইয়ামিন মায়ের প্রতি অভিমান করে ঘরের একটি কক্ষে রাখা মইয়ের সাথে মায়ের ওড়না গলায় পেঁচিয়ে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন।
এই বিষয়ে নবীনগর থানার (ওসি তদন্ত) নুরে আলম বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি, এই ঘটনায় পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় এবং পরিবার ও এলাকাবাসীর লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের সদস্যদের কাছে শিশু ইয়ামিনের মরদেহটি হস্তান্তর করে দেওয়া হয়েছে।