কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের দৌলখাঁড় ইউনিয়নের সোন্দাইল গ্রামের সুলতান আহম্মদের ছেলে তাজুল ইসলামের বাড়ীতে তার ভাই শাহ আলম, খুরশীদ আলম ও শাহ আলমের স্ত্রী আয়েশা খাতুন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘাটে। হামলায় তাজুল ইসলাম (৬০), তার মেয়ে আসমা আক্তার (২৩) ও ভাতিজী তানিয়া আক্তার (২৭) আহত হয়। আহতদের স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। পরে হামলাকারীরা তাদের বাড়ীর বাউন্ডারির টিন ভাংচুর করে। হামলায় আহত তাজুল ইসলামের স্ত্রী রৌশনারা আক্তার ফাতেমা বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সোন্দাই গ্রামের সুলতান আহম্মদের ছেলে তাজুল ইসলাম তার পিতা পরলোকগমন করলে পৈত্রিক সূত্রে ও কিছু সম্পত্তি খারিদা সূত্রে মালিক হয়ে বসবাস করে আসছে। গত ১ বছর পূর্বে তার ভাই শাহ আলম ও খুরশীদ আলম তাদের কিছু জায়গা দখল করার চেষ্টা করে। এ নিয়ে তাজুল ইসলাম কুমিল্লার আদালতে মামলা করলে তখন তারা আর কখনো এমন কর্ম করবেনা মর্মে আদালতে মুচলেকা প্রদান করে। কিন্তু বছর না যেতেই শুক্রবার আবার তারা তাজুল ইসলামের বাড়ীর কিছু অংশ দখল করতে আসে। দখলে বাধা দেয়ার শাহ আলম, খুরশীদ আলম ও শাহ আলমের স্ত্রী আয়েশা খাতুন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে তাজুল ইসলামের উপর হামলা করে। এ সময় তাজুল ইসলামের আত্মচিৎকারে তাকে বাঁচাতে তার মেয়ে আসমা ও ভাতিজী তানিয়ে এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা তাদের উপরও হামলা চালিয়ে আহত করে। এছাড়াও হামলাকারীরা তাজুল ইসলামের একমাত্র পুত্র আবদুর রহমানকে হত্যা ও গুমের হুমকি দিচ্ছে বলেও জানান ভূক্তভোগীরা। এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তাজুল ইসলাম ও তার পরিবার।
নাঙ্গলকোট থানা উপপরিদর্শক সুমিত চৌধুরী বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।