থরে থরে সাজানো বই। গোরা, শেষের কবিতা, নুরজাহান, পদ্মা নদীর মাঝি, সূর্য দীঘল বাড়ি, তিতাস একটি নদীর নাম, জননীর গল্প, সাতকাহন- এমন একশ' বই শুভা পাচ্ছে। এ যেন একটা পাঠাগার। এখানেই শেষ নয়। দর্শনার্থীদের মাঝে বিলিও করা হচ্ছে বিভিন্ন বই। আগত দর্শনার্থীরা বাংলা সাহিত্যের সেরা বইয়ের পরিচিত হতে পেরে খুশি। সেলফি তুলছেন অস্থায়ী পাঠাগারের সামনে। এমন আয়োজন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায়। শ্রী শ্রী সরস্বতী মায়ের পুজা উপলক্ষে অরুণ সংঘ দুইদিন ব্যাপি এমন ব্যতিক্রম আয়োজন করেছে।
রাধানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সকালে মায়ের পায়ে পুষ্পাঞ্জলি দেন ভক্তরা। এর আগে পুর্জা অর্চনা অনুষ্ঠিত হয়। অরুণ সংঘের সভাপতি সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল জানান, প্রতিবছরই তারা ব্যতিক্রম কিছু নিয়ে হাজির হন। এরই ধারাবাহিকতায় এবার ভাষা শহিদদের প্রতি সম্মান জানিয়ে পাঠাগারের আদলে মন্ডপ তেরি করেছেন। তবে করোনার কারণে এ বছর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে না। পাঠাগারের কারিগর মো. শাহাদাৎ হোসেন জানান, তিনি কুমিল্লার লাকসাম থেকে এসে এখানে কাজ করছেন।