ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল পাইকারি আড়ৎগুলোতে বেড়েছে মাছের দাম কেজিতে ৩০-৩৫ টাকা। তীব্র ঠান্ডায় অনেক জেলে পুকুর-জলাশয়ে মাছ ধরতে না পারায় বাজারে কমেছে মাছের সরবরাহ। দাম বাড়ছে হির হির করে বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা।এ ছাড়া টানা শৈত্যপ্রবাহে মাছে ক্ষতিকর ভাইরাস দেখা দিয়েছে বলে জানান মৎস্য চাষীরা। ভোর থেকেই ক্রেতা বিক্রেতার হাঁকডাকে জমে উঠে রাণীশংকৈল পুরাতন হাটখোলা (গুদরি বাজার) মাছের আড়ত এ। তবে গত দুই সপ্তাহ ধরে শীতের তীব্রতা বাড়ায় কমেছে মাছের সরবরাহ। জেলেরা বলছেন, বৈরী আবহাওয়ায় বিল জলাশয়ে মাছ ধরা ব্যাহত হওয়ায় সরবরাহও কমে গেছে।তীব্র শীত উপেক্ষা করে যারা মাছ নিয়ে আসছেন চাহিদা বেশি থাকায় মুহূর্তেই তা বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। আড়তে প্রতি কেজি রুই মাছ ২২০ টাকা, কাতল ২৫০ টাকা, মৃগেল ২১০ টাকা, সিলভার কার্প ১৫০ টাকা, পাঙ্গাশ ১৪০ টাকা, শিং ও মাগুর ৪৫০ টাকা, বোয়াল ৪০০ টাকা, জাপানি কার্প, ১৬০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০ টাকা, চাষ করা কই ৩০০ টাকা, টাকি ২০০ টাকা পাইকারি দরে বিক্রি হচ্ছে।
চাষ করা রুই, কাতল, মৃগেল, পাঙাশ, তেলাপিয়া ও কার্পজাতীয় মাছের সরবরাহ কম থাকলেও ক্রেতার উপস্থিতি বেশি। তাই সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা পর্যন্ত। এতে মাছ চাষিরা খুশি হলেও বিপাকে আছেন ক্রেতারা। বিক্রিতেও পড়েছে প্রভাব।
মাছের বাড়তি দামের বিষয়ে শিংপাড়া গ্রামের শামিম জানায়, বাজারে মাছের দাম কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা বাড়তি। যার কারণে মাছ কিনতে পারছি না। যে মাছের দাম ১৫০ টাকা কেজি ছিল। সে মাছের এখন ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। সামুদ্রিক মাছ বিক্রেতা বাবুল হোসেন বলেন, সামুদ্রিক মাছের দাম তেমন একটা বাড়েনি, তবে দেশিয় খুচরা মাছের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে টানা শৈত্য প্রভাহের চাষ করা মাছে দেখা দিচ্ছে ক্ষতিকর ভাইরাস। মাছ চাষিরা জানিয়েছেন, শীতের কারণে মাছ ধরা যাচ্ছে না। সরবরাহ কমে যাওয়ায় মাছের দাম বেড়ে গেছে। বাজারের মাছ ব্যবসায়ী খাদেমুল, সবুর, ওয়াশিম জানায়, বাজারে প্রতি কেজি মাছে ৩৫-৪০ টাকা বেশিতে কিনতে হচ্ছে। রাণীশংকৈল পাইকারি আড়তে প্রতিদিন ৫ থেকে ৭ লাখ টাকার মাছ কেনা বেচা হয়।
বাজারে মাছের দাম বৃদ্ধি পাওয়া প্রসঙ্গে মৎস কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম বলেন- নদী,পুকুর,জলাশয়ে পানি কমে যাওয়ায় মাছ চাষাবাদে ব্যাঘাত হচ্ছে সেই জন্য লোকাল মাছের দাম বৃব্ধি পাচ্ছে। তাছাড়া সামুদ্রীক মাছের উপর তেমন কোন প্রভাব পড়েনি তাই এ মাছের দাম বৃদ্ধি হয়নি।