কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে শীতের তিব্রতায় বিপাকে পড়েছে শিশু, বৃদ্ধ ও শ্রমজীবিসহ নিম্ন আয়ের মানুষ। গেলো ১ মাস ধরে ঘন কুয়াশা আর প্রচন্ড ঠান্ডায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবি মানুষগুলোকে। গরম কাপড়ের অভাবে শীতে জুবুথুবু হয়ে গেছে জনজীবন। তাই নিম্ন আয়ের মানুষের ভরসা ভ্রাম্যমান কিংবা ফুটপাতের কমদামি ও পুরনো কাপরের দোকানগুলোতে। তবে অন্যান্যবারের তুলনায় চলতি শীত মৌসুমে এসব পোশাকের দাম বেড়েছে দিগুণ। আর এতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এদিকে বিক্রেতারা বলছেন বেশি দামে কেনায় বেশি দাম চাইতে হচ্ছে ক্রেতাদের নিকট। আর নিরুপায় হয়ে দাম বেশি চাইতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হয় তাদের।
নাগেশ্বরী পৌরসভার টিএন্ডটি মোড়স্থ শীতবস্ত্র কেনাবেচার মার্কেটে গরম কাপর কিনতে আসা মাইদুল ইসলাম, আশরাফুল ইসলাম জানায়, তারা মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান। ভালো মার্কেট কিংবা শোরুম থেকে থেকে শীতবস্ত্র কেনার স্বামর্থ্য তাদের নেই। তাই পরিবারের লোকজন ও নিজের জন্য ফুটপাতের দোকানে গরম কাপর কিনতে এসেছেন তারা। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর দাম বেশি হওয়ায় পরিবারের সবার জন্য পোশাক কিনতে পারেননি তারা।
উপজেলা গেটের সামনের ফুটপাতের দোকানে কিনতে আসা আনোয়ারা বেগম জানায়, তিনি গরিব মানুষ। তার তেমন পোশাক কেনার সামর্থ্য নেই। তার সন্তানেরা শীত কষ্টে আছে তাই কমদামি কাপর কিনতে এসছেন তিনি।
এসব ফুটপাতের বস্ত্র বিক্রেতা, নুরু মিয়া জানায় অন্যান্য বছরের তলনায় এ বছর প্রতি গাইট মালামাল দ্বিগুন দামে কিনতে হয় তাদের। তাছাড়া পরিবহন খরচসহ অন্যান্য খরচ তো আছেই। তাই ক্রেতাদের নিকট বেশি দাম চাইতে হয় তাদের। আর এতে অনেক সময় ক্রেতাদের সাথে ঝগড়াও লেগে যায়।
এদিকে চলতি শীত মৗেসুমে প্রচন্ড ঠান্ডা থাকায় এ উপজেলার চরাঞ্চলসহ নিম্ন আয়ের মানুষগুলোর শীত নিবারণে প্রশাসন, রাজনৈতিক, ধনাঢ্য, ও দানশীলব্যাক্তিসহ বিভিন্ন সংগঠন ও বেসরকারি সংস্থা এগিয়ে আসা প্রয়োজন বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
উপজেলা প্রশাসন বলছে দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষের মাঝে সরকারের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে পর্যাপ্ত কম্বল বিতরণ করেছেন তারা। এছাড়াও পরবর্তীতে আবারও কম্বল বিতরণের আশ্বাস দিয়েছেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর আহমেদ মাছুম। তিনি বলেন এ বছর ৭ হাজার ৫০ টি কম্বল প্রতিটি ইউনিয়নের ছিন্নমূল ও হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করেছেন। এছাড়াও ১২ লাখ টাকার শী বস্ত্র কিনে সেসব দরিদ্র মানুষের মাঝে বিতরণ করেছেন। তবে আবারও বরাদ্দ পেলে সেসব বন্টন করবেন তিনি।