দিন দিন ট্রেনে বাড়ছে যাত্রী। মানুষ ঝুকে পড়েছে ট্রেন যোগাযোগে। ফলে ট্রেনে যাত্রী সেবা বাড়াতে নতুন নতুন বগি তৈরীর কাজ চলছে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায়। যাত্রী পরিবহনের জন্য সক্রিয় করা হয়েছে নন এসি (শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত নয়) চারটি স্লিপার কোচ। তবে চাকা সঙ্কটের কারণে এর একটি কোচ এখনও পড়ে আছে দেশের বৃহত্তর রেলওয়ে কারখানা সৈয়দপুরে। আর ৫ ফেব্রুয়ারি একটি মেরামত শেষে বের হয়েছে (আউটটার্ন)। রেলওয়ে সূত্র জানায়, ২০১৬ সালে ব্রডগেজ (বড়) লাইনের জন্য ৫০টি কোচ আমদানি করে সরকার। অত্যাধুনিক এসব রেল কোচ নির্মাণ হয়েছে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকাধীন রেলওয়ে ক্যারেজ নির্মাণ কারখানা পিটি ইন্ড্রাষ্ট্রি কেরেতা এপিতে (পিটি ইনকা)। ওই বহরে চারটি নন এসি স্লিপার কোচও ছিল। প্রতিটি স্লিপার কোচে ২৩টি শয়ন আসন আছে। এসব রেলকোচ চিলাহাটি-ঢাকাগামী আন্তঃনগর নীলসাগর এক্সপ্রেস ও ঢাকা-দিনাজপুর রুটে দ্রুতযান ও একতা এক্সপ্রেস ট্রেনে যুক্ত ছিল। যান্ত্রিক ক্রটি দেখা দেয়ায় ২০১৯ সালে মেরামতের জন্য সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় নিয়ে আসা হয়। দীর্ঘদিন ধরে ওই কোচগুলো সংশ্লিষ্ট ট্রেনগুলোতে যুক্ত না থাকায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এর যাত্রীরা। তাদের অনেককে বাড়তি ভাড়ায় এসি স্লিপার কোচে ভ্রমণ করতে হচ্ছে। এর ওপর রয়েছে টিকিট না পাওয়ার বিড়ম্বনা। নিয়মিত রেলে যাতায়াত করেন নীলফামারী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রি সভাপতি মারুফ জামান জানান, রেলওয়ের টিকিট এখন সোনার হরিণ। এ অবস্থায় গত তিন বছর ধরে নন এসি কোচ না থাকায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারিয়েছে। তিনি দ্রুত ওইসব কোচগুলো নির্দিষ্ট ট্রেনে যুক্ত করার দাবি জানান।
এনিয়ে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) মো. জয়দুল ইসলাম জানান, মেরামতের পর এরইমধ্যে দুটি কোচ রেলের পরিবহন শাখায় হস্তান্তর করা হয়েছে। শনিবার আরও একটি কোচ বের হয়। আর একটি কোচের মেরামত শেষ হলেও চাকা সঙ্কটের কারণে তা হস্তান্তর করা যাচ্ছে না। তবে খুব শিগগিরই এর সমাধান হবে।