জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে অসময়ে বৃষ্টিতে ৮ হাজার ৫শ হেক্টর আলু ও ১ হাজার ১ শ হেক্টর সরিষা ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি, দিশেহারা এলাকার কৃষকরা।
ক্ষেতলাল কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় পাঁচটি ইউনিয়নে ৮ হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আলু এবং ১ হাজার ১ শ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছে।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন মাঠে ঘুরে দেখা গেছে, দুদিনের টানা বৃষ্টিতে আলুর ক্ষেত পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় জমি থেকে পানি নিষ্কাশন ব্যস্ত সময় পাড় করছেন কৃষকরা। আবার কোন কোন কৃষক স্বপরিবারে জমিতে আলু উঠানোর কাজে ব্যস্ত। আগাম জাতের প্রায় ২০ আলু কৃষকরা ঘরে তুলতে পেরেছে। বাঁকী আলু কোল্ডস্টোরেজে রাখার জন্য মাঠেই রেখেছেন।
ক্ষেতলাল পৌর এলাকার ভাশিলা গ্রামের আহম্মদ আলী, সে এ বছর ১৫ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছে। হঠাৎ বৃষ্টিতে পুরোটায় পানিতে তলিয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, এমনিতেই এ বছর আলু চাষে খরচ বেশি, আলুর বীজ ও সারের দাম অনেক বেশী। প্রাকৃতিক এ দূর্যোগের কারণে আমি এবছর আলু চাষকরে পথে বসে গেলাম।
উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে একই পরিস্থিতি, আলমপুর ইউনিয়নের কানাই পুকুর গ্রামের শামছদ্দিন মন্ডল, তার ৭ বিঘা জমিতে আলু রোপর করা আছে কিছুদিন পর সে গুলো উঠানো হত। গতবারের লোকসান উঠানোর জন্য এ বছর বেশী করে আলু রোপন করেছিলাম কিন্তু অসময়ের বৃষ্টিতে সে গুড়ে বালি। একই গ্রামের নুরুল ইসলাম, তার দুই বিঘা জমিতে সরিষা লাগানো আছে অসময়ের বৃষ্টি এবং বাতাসে হেলে গিয়ে পানিতে ডুবে গেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহেদুল ইসলাম বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলায় প্রায় ২০ ভাগ আলু উঠানো হয়েছে। বাঁকীটা কৃষকরা কোল্ডস্টোরে রাখার জন্য মাঠে রেখেছিল। কিন্তু অসময়ের বৃষ্টিতে কৃষকরা বেশ ক্ষতিগ্রস্থ হলেন। দু’একদিনের মধ্যে আলুর জমি থেকে পানি সড়াতে না পারলে তাদের ক্ষতির আসঙ্কা করছে।