প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা সৈয়দপুর। মাঘের শেষে দুইদিনের হালকা বৃষ্টিতে হাঁটু পানি জমেছে প্রথম শ্রেণীর পৌরসভার ১৩ নং ওয়ার্ডের সাদরা লেন সড়কে। এ সড়কটি বাঁশবাড়ীর সাদরা লেন থেকে শহীদ নূর মোহাম্মাদ সড়কের সাথে যুক্ত। দুদিনের হালকা বৃষ্টিতে সড়কটির এ দুরাবস্থা। এ দুই দিন ঘর থেকে বেরুতে পারেনি এলাকার কয়েক হাজার মানুষ। এলাকাবাসীর এ দুর্ভোগ নতুন নয়, দীর্ঘদিন থেকে তারা এ দুরাবস্থার ভুক্তভোগী।
এর আগে অনেক আবেদন-নিবেদনের পর গত পরিষদের শেষের দিকে সড়কটি উঁচু করে সংস্কারের জন্য টেন্ডার আহ্বান করে তৎকালীন পরিষদ। কিন্তু এলাকাবাসী অবাক হয়ে দেখল ওই সড়কটি সংস্কার না করে সংযুক্ত একটি গলিপথের সংস্কার করা হয়েছে। ফলে সড়কটির বেহাল দশা রয়েই গেছে।
আবার এলাকাবাসীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নয়া পৌর মেয়র রাফিকা আকতার জাহান সড়কটি পরিদর্শনে আসেন। তিনিও সড়কটি উঁচু করে সংস্কারের আশ্বাস দেন। কিন্তু বছর গড়িয়ে গেলেও কাজ হয়নি কোন।
ওই এলাকার বাসিন্দা তসলিম উদ্দীন বলেন, নির্বাচিত হয়েই পৌরসভার মেয়র সড়কটির দুরাবস্থা দেখতে আসায় আমরা আশান্বিত হয়েছিলাম। এবার হয়তো আমাদের দুর্দশা লাঘব হবে। কিন্তু তার কোন আলামত আমরা দেখতে পাচ্ছি না।
আর কয়েক মাস পরেই জুন-জুলাইয়ে শুরু হবে বর্ষাকাল। এ অবস্থায় এখনই সাদরা লেন সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ না নিলে আসন্ন বর্ষায় ভরাডুবি খেতে হবে। তাই আমাদের বাড়ি-ঘর বিক্রি করে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে হবে অন্যত্র।
সাদরা লেনের আর এক প্রবীণ রেলওয়ের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী শরিফুল ইসলাম বলেন, এখানকার বাসিন্দারা নিম্ন আয়ের ছাপোষা মানুষ। চাইলেই তাদের পক্ষে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়া সম্ভব নয়।
এমতাবস্হায় পৌরমাতা রাফিকা আকতার জাহানের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, সাদরা লেন সড়কের দুরাবস্থা ও এখানকার বাসিন্দাদের দুর্ভোগ সম্পর্কে আপনি সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল।
তাই, আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই সড়কটি উঁচু করে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়ে প্রকৃত অর্থে মায়ের দায়িত্ব পালন করবেন। এ প্রত্যাশা আমাদের সকলের।