এবার রেকর্ড পরিমান শীতের ইলিশ মিলছে বরিশালে। মৎস্য বিভাগের মতে এ মৌসুমটি ইলিশের সুপ্ত মৌসুম হতে পারে। তবে এ নিয়ে চলছে গবেষনা। অধিকাংশ ইলিশ সাগর মোহনায় ধরা পড়ায় এর সাইজ ছোট। স্বাদ অনেকটাই কম হওয়ায় বেচাকেনায় বিব্রত ব্যবসায়ীরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, গত পহেলা ডিসেম্বর থেকে এ বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বরিশালের ইলিশ মোকামগুলোতে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ এসেছে। যা গতবার এসেছিলো ১০ টন। ইলিশের প্রকৃত মৌসুমে বরিশালে ইলিশ না আসা এবং অসময়ে ইলিশ আসা নিয়ে ইতোমধ্যে গবেষনা শুরু করেছে মৎস্য বিভাগ। বলা হচ্ছে হতে পারে এটি ইলিশের সুপ্ত মৌসুম। জাটকা নিধন বন্ধ ও মা ইলিশ রক্ষায় সফল হওয়ার সুফল হিসেবে এটাকে দেখছে মৎস্য বিভাগ।
রোববার সকালে সরেজমিনে নগরীর ইলিশ মোকাম ঘুরে দেখা গেছে, এত ইলিশের মধ্যেও বড় ইলিশের দেখা মিলছে না। আড়তদারদের মতে শীতের এ সময়টায় প্রতিদিন প্রায় ৫০ টন ইলিশ বরিশাল আসলেও সব ইলিশের সাইজ ছোট। তাই ভালো দাম পাচ্ছেন না তারা। অপরদিকে মৌসুমে ইলিশ না মেলায় এবং অসময়ে ইলিশ আসায় ইলিশের ব্যবসা নিয়ে আড়তদারদের থাকতে হচ্ছে অনিশ্চয়তায়। এমন দাবি করে আড়তদাররা বরিশালে ইলিশের বর্তমান অবস্থার একটি গবেষনা দাবি করেছেন।
বরিশাল ইলিশ মোকামে এখন ইলিশ কেনা বেচা জমজমাট দেখা গেলেও খুচরা বিক্রেতাদের মতে, শীতের ইলিশ ঝাকে ঝাকে ধরা পড়ায় বাজারে আসছে না শীতকালীন দেশীয় প্রজাতির মাছ। পাশাপাশি শীতের ইলিশের স্বাদ কম হওয়ায় এবং সাইজে ছোট হওয়ায় এর বেচাকেনাও ভালো নয়।
ইলিশ গবেষক ড. বিমল চন্দ্র দাস বলেন, সাগর মোহনা থেকেই সব ইলিশ ধরা হচ্ছে বলে ইলিশ নদীর মিঠা পানিতে আসতে পারছে না। ইলিশ যতো মিঠা পানিতে সাতার দেবে ততোই এর স্বাদ ও সাইজ ভালো হবে। তিনি আরও বলেন, তাদের গবেষনা মতে প্রায় সব ইলিশ ধরা পড়ছে ঢালচরসহ সাগর মোহনায়। স্থানীয় নদীতে ইলিশ মিলছে না। তাই ইলিশ পেলেও মিলছে না সাইজ এবং স্বাদ।