খুলনার কয়রা উপজেলার বাগালী ইউনিয়নের হোগলা বাজার হতে শেওড়াপাড়া গুচ্ছগ্রাম অভিমুখে প্রায় তিন কিলোমিটার ইটের রাস্তা খানাখন্দে বেহাল দশা। বর্তমানে রাস্তাটি চলাচলে অনুযোগী হওয়ায় জনদুর্ভোগ চরমে। গত একযুগেও ওই রাস্তাটি পিচ ঢালাই না হওয়ায় চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে এলাকাবাসীর মধ্য। রাস্তাটি সংস্কার না হওয়ায় সমস্যায় পড়তে হচ্চে দুই ধারে বসবাসকারী ২৫০ থেকে ৩০০ পরিবারকে। সরেজমিনে দেখা যায়, কপোতাক্ষ নদীর বেড়ীবাঁধের উপর হোগলা-শেওড়াপাড়া ইটের রাস্তাটি। হোগলা বাজার হতে শেওড়াপাড়া গুচ্ছগ্রাম অভিমুখে প্রায় তিন কিলোমিটার ইটের রাস্তাটির অধিকাংশ ইটের সোলিং উঠে গেছে। জায়গায় জায়গায় ভাঙা ও দেবে গেছে। পায়ে হেটে যাওয়া অসাধ্য হয়ে পড়েছে। অল্প বৃষ্টি হলেই খানাখন্দে পানি ভরে পুরো রাস্তায় পানি বেঁধে যায় এবং কাদা হয়ে যায়। হোগলা গ্রাামের একাধিক ব্যক্তি জানান, ইটের সোলিং উঠে যাওয়া, ভাঙা ও দেবে যাওয়া রাস্তা দিয়ে কোন রকম পায়ে হেটে যাওয়া যায়। তাও কষ্টসাধ্য মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেল চালিয়ে যাওয়া খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া কোনো অসুস্থ রোগী নিয়ে রাস্তাটি দিয়ে যেতে পারি না। পার্শ্ববর্তী জেলার আশাশুনি ও কয়রা উপজেলার বাগালী ইউনিয়নের ১০ থেকে ১৫টি গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে এ রাস্তা দিয়ে। দুই উপজেলার মানুষের যাতায়তের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা হলেও এখনো পর্যন্ত পিচ ঢালাই হয়নি। শেওড়াপাড়া গ্রামের এলাইবক্স বলেন, হোগলা ও শেওড়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দাসহ আশপাশের গ্রামের লোকজনদের এই রাস্তাটিই ভরসা। এটি পিচ ঢালাই এখন সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি আরও বলেন, এই তিন কিলোমিটার ইটের রাস্তার জন্য সবাইকে প্রতিনিয়ত নানা সমস্যায় পড়তে হয়। পরিবারে কোন মালামাল আনতে হলে প্রায় ৬ কিলোমিটার ঘুরে অন্য রাস্তা দিয়ে আনতে হয়। ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের এই রাস্তা ব্যবহার করে স্কুলে যেতে হয়। বিকল্প রাস্তা না থাকায় যে কোন মুহুর্তে ঘটে দুর্ঘটনা। এই তিন কিলোমিটার ইটের ভাঙা রাস্তাটি সংস্কার না হওয়ায় দুর্ভোগের সীমা নেই। বাগালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুস সামাদ গাজী বলেন, হোগলা হতে শেওড়াপাড়া অভিমুখে ইটের রাস্তাটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধের উপর। ওই খানে স্থায়ী বেড়ীবাঁধের জন্য আগামী দুই মাসের মধ্য জায়কা কাজ শুরু করবে। যার কারণে এই মুহুর্তে ওই রাস্তায় ইট বসানো সম্ভব হচ্ছে না।