ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ-আখাউড়া চার লেন মহাসড়কের উন্নয়নকাজ চলছে দুই বছর ধরে। এজন্য মহাসড়কের পাশের খালটি ভরাট করা হয়েছে। এ কারণে আশুগঞ্জ পলাশ-অ্যাগ্রো ইরিগেশন সেচ প্রকল্পের (সবুজ প্রকল্প) পানি ছাড়া সম্ভব হয়নি। এতে সরাইল উপজেলার সাড়ে পাঁচ হাজার হেক্টর জমির বোরো চাষ অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। দুশ্চিন্তায় পড়েছেন হাজারো কৃষক।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) ও আশুগঞ।জ উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থেকে সরাইল বিশ্বরোড মোড় হয়ে আখাউড়া পর্যন্ত ৩ হাজার ৫৬৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ৫০ কিলোমিটার মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীতকরণ কাজ চলছে দুই বছর ধরে। এ কাজের জন্য আশুগঞ্জ থেকে সরাইল বিশ্বরোড মোড় পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার অংশের খাল ভরাট হয়ে গেছে। এতে আশুগঞ্জ সবুজ প্রকল্পের ২০২২ সালে পানি ছাড়া সম্ভব হয়নি। প্রতিবছর জানুয়ারির শুরুতে ওই প্রকল্পের পানি ছাড়া হতো। সরেজমিনে দেখা যায়, পানিশ্বর ইউনিয়নের পানিশ্বর, বিটঘর, বেড়তলা, নাইলা, সরাইল উপজেলার কুট্টাপাড়া, সৈয়দটুলা, নিজসরাইল, উচারিয়াপাড়া, চুন্টা ইউনিয়নের রসুলপুর, চুন্টা, বড়বোল্লা, নোয়াগাঁও ইউনিয়নের ইসলামাবাদ, বারিউড়া, শাহবাজপুর ইউনিয়নের শাহবাজপুর ও দীঘিরপাড় এলাকার কোনো জমিতে পানি পৌঁছায়নি এ রিপোর্ট ওখৈা পর্যন্ত। ফলে এখনো বোরো রোপণ করা সম্ভব হয়নি। জমিগুলো খাীল পড়ে আছে, বীজতলার চারা নষ্ট হওয়ার উপক্রম হচ্ছে। চলতি বছরের বোরো আবাদেও সময় শেষ হয়ে গেলেও জমিতে চারা রোপন করতে না পারায় হাজার হাজার কৃষকের মাথায় যেন বাজ পড়েছে। তারা কি করওেব বুঝে উঠতে পারছে না। সরাইল উপজেলার কৃষক বজলু মিয়া বলেন,প্রতি বছর যেখানে জানুয়ারীর প্রথশ সপ্তাহে আমরা আশুগঞ্জে বিইেডসির পানি পেয়ে যেতাস সেখানে ফেব্রুয়ারী ৭ তারেখেও পানি পায়নি। এ অবস্থায় আমরা কৃষকরা কি করব তা বুঝে উঠতে পারছিনা। এ বিষয়ে আমরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসককে লিখিতভাবে জানিয়েছি। আমরা চািই দ্রুত পানি পাওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। অন্যথঅয় আমরা প্রধান ফসল উৎপাদন করতে পারব না।
এ বিষয়ে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরবিন্দ বিশ্বাস বলেণ,আশুগঞ্জ উপজেলা বাহাদুপুর সায়েরা ফিলিং স্টেশনের সামনে বিএডিসির খাল ভলাট করাছিল।আমরা সে বাধটি কেটে দিয়েছি।এখন আশুগঞ্জ কোন সমস্যা নাই।সরাইলে কিছু বাঁধ আছে সেটি সেখানকার ইউএনও ব্যবস্থা নিবেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক শাহগীর আলম এ বিষয়ে বলেন ইতোমধ্যে ফোরলেন প্রকল্প এবং আশুগঞ্জ বিএডিসি ড্রেন পরিদর্শন করেছি। তিনি বলেন,এি একটি সেনসিটিভ বিষয়।কৃষকরা যেন আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পানি কৃষকদের জমিতে পৌছে সে বিষয়টি নিশ্চিত করনের জন্য আশুগঞ্জ
বিএডিসি,আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাূ,উপজেলা চেয়ারম্যান,সরাইল ইউএনও,উপজেলা চেয়ারম্যান,ব্রাহ্মণবাড়িয়া রোড্স এ- হাইওয়ে, বিএডিসি ব্রাহ্মণবাড়িয়া,এবং ফোরলেন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক সহ সবাইকে নিয়ে জরুরী সভা করে তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আশা করছি এক সপ্তাহের মধ্যে এই সমস্যাটি সমাধান হবে। এ বিষয়ে কারো ন্যুনতম অবহেলা সহ্য করা হবে না।