সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগারের সাথে লড়াই করে প্রাণে বেঁচে ফিরেছেন আবু হায়াত (৫০) নামের এক মাছধরা জেলে।
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের ট্যাংরাখালি গ্রামের আনসার ঢালীর ছেলে আবু হায়াত ঢালী (৫০) বর্তমানে সাতক্ষীরার।
স্থানীয় আবদুল হালিম ফিরে আসা জেলেদের বরাতে জানান, কৈখালী ফরেস্ট স্টেশন থেকে বৈধ পাস নিয়ে গত ২৯ জানুয়ারি পশ্চিম সুন্দরবনের গহিনে মাছ ধরতে যায় আবু হায়াতসহ মীরগাং গ্রামের কেরামত সানার ছেলে বাবলু সানা ও আরশাদ গাজীর ছেলে নুর ইসলাম গাজী।দাইরগাং বড় খাল নামক স্থান থেকে মাছ ধরা অবস্থায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান সহযোগী বাবলু সানা।
অপর সহযোগী নুর ইসলাম বলেন, সুন্দরবনের ভিতরে মাছ ধরার সময় আবু হায়াতের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঘটি। বাঘের এই অতর্কিত আক্রমণে আমরা চিৎকার দিতে থাকি এবং হাতে থাকা বৈঠা নিয়ে বাঘের উপর আঘাত করে তখন বাঘটি আবু হায়াতকে রেখে চলে যায়।
তিনি আরও বলেন, আমরা দুইজন গাছে আঘাত করে শব্দ করতে থাকি। কিছুক্ষণ পর বাঘটি আবার বনের ভেতর চলে যায়। এরপর আবু হায়াত ঢালীকে উদ্ধার করে দ্রুত উপকূলের দিকে রওনা হই। বাড়িতে ফিরেছি রাত ২টার দিকে। সকালে তাকে শ্যামনগর হাসপাতালে ভর্তি করেছি। তার মুখে ও মাথার তিনটি স্থানে আঘাত লেগেছে। এ যাত্রায় বেঁচে ফিরেছি আমরা।
শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপসহকারী কমিউনিটি অফিসার মেডিকেল রাজু ইসলাম জানান, সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাঘের আক্রমণে আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা ভালো রয়েছে।
সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের কর্মকর্তা এমএ হাসান বলেন, ঘটনাটি মৌখিকভাবে শুনেছি। সত্যতা ও বিস্তারিত জানার জন্য ঘটনাস্থলে বন কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানাতে পারব।
কৈখালী স্টেশন কর্মকর্তা হারুন আর রশিদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন আবু হায়াত নামে এক ব্যক্তিকে বাঘে ধরেছে। তার সহযোগীরা তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে এসেছে। বর্তমানে উন্নত চিকিৎসার জন্য বাইরে আছে বলে জানতে পেরেছি।