সুনামগঞ্জের সর্বস্থরের মানুষের ভালবাসায় সিক্ত হয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক পীর হাবিববুর রহমানের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩ টায় মরহুরের গ্রামের বাড়ি কুরবান নগর ইউনিয়নের মাইজবাড়ি গ্রামের পশ্চিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সর্বশেষ জানাজা শেষে বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে তাঁর পারিবারিক কবরস্থানে মা বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছেন।
সুনামগঞ্জ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে পীর হাবিবুর রহমানে প্রথম দফা জানাজার পূর্বে স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য মহিবুর রহমান মানিক, পীর হাবিবুর রহমানের ছোট ভাই সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুল হুদা মুকুট, পৌরসভার মেয়র নাদের বখত, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, পীর হাবিবুর রহমানের বড় ভাই অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান পীর, পীর হাবিবের ছেলে আহনাফ ফাহমিন অন্তর।
এ পীর হাবিবের ছেলে অন্তর তার বাবার জন্য সকলের কাছে দোয়া চেয়ে বলেন, তাঁর ব্যবহারে যদি কেউ কষ্ট পেয়ে থাকেন তবে তাঁকে ক্ষমা করে দেবেন। যদি কেউ তার কাছে কোনও প্রকার টাকা পয়সা পেয়ে থাকেন সে জন্য তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ করেন।
দুপুর ১২ টায় সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্বা জানানোর জন্য সুনামগঞ্জ পৌরসভা চত্বরে রাখা হয় পীর হাবিবের মরদেহ।
পীর হাাবিবের কফিনে প্রথম শ্রদ্ধা নিবেদন করেন, সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি নুরুল হুদা মুকুট, এরপর শ্রদ্ধা নিবেদরন করেন, সুনামগঞ্জ পৌর পরিষদ, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ মতিউর রহমানের পক্ষে, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি পলিন বখত, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ, সুনামগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টি, হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটি, সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটি, সুনামকণ্ঠ পরিবোর, হিন্দু-বৌদ্দ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ, জাতীয় পাটির বিভিন্ন ইউনিট, ছাত্রলীগ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন জেলা প্রশাসন সহ নানান শ্রেণী পেশার লোকজন ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্বা জানান।
সুনামগঞ্জে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয় বাদ জোহর দুপুর ২ টায় সুনামগঞ্জ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের (পুরাতন কোর্ট মসজিদ) ঈদগাহে। এরপর লাশ নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর গ্রামের বাড়ী মাইঝবাড়ীতে। সেখানে শেষ জানাযার পর পিতার মাতার পাশেই চিরনিন্দ্রায় শায়িত হন তিনি।