পঞ্চম ধাপে ইউপি নির্বাচন মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন গত ৫ জানুয়ারী সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ষৌলআনী গ্রামে ৬ টি বসতঘরে ভাঙচুর লুটপাট করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল রোববার রাতে ইমামপুর ইউনিয়নে
বিজয়ী ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুজ্জামান খান জিতু'র সমর্থকরা পরাজিত প্রার্থী মনসুর আহমেদ খান জিন্নাহর সমর্থকদের বাড়িতে এ হামলা ও লুটপাট চালিয়েছে বলে জানা গেছে।
হামলাকারীরা ষৌলআনী গ্রামের ইমামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সবুজ দেওয়ান, রবি আউয়াল, শাহীন, আলাল, সোহেল ও সহিদ মিয়াসহ ৬ জনের বসতঘরে ভাঙচুর করেছে। এ ঘটনায় সোমবার সকালে শাহীনের বাবা লুৎফর রহমান বাদি হয়ে গজারিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ইমামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হন হাফিজুজ্জামান খান জিতু। রোববার শপথ গ্রহনের পর ওই দিন
রাতে হাফিজুজ্জামান খান জিতুর সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পরাজিত প্রার্থী মনসুর আহমেদ খান জিন্নাহর সমর্থক ষৌলআনী গ্রামে
ইমামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সবুজ দেওয়ানের বসতবাড়ি সহ ৬টি বাড়ি বসত ঘরে হামলা ও ভাঙচুর করে।
হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের গৃহবধূ ফরিদা বেগম বলেন, নির্বাচনের পর থেকেই বিজয়ী চেয়ারম্যান হাফিজুজ্জামান খান জিতু'র লোকজন প্রতি রাতেই দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের হুমকি প্রদান করে আসছে। তাদের ভয়ে আমার ছেলে ও স্বামী পালিয়ে বেড়াচ্ছে। গতকাল রোববার রাতে তারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের বসত ঘরে হামলা করে। হামলাকারীরা বসত ঘরে থাকা ৩২"এলইডি টিভি, নগদ ১লাখ ৭০ হাজার টাকাসহ স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে গেছে।
পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মনসুর আহমেদ খান জিন্নাহ'র স্ত্রী ফারহানা আক্তার এ্যানী বললেন, নির্বাচনের পর থেকে বিজয়ী চেয়ারম্যান হাফিজুজ্জামান খান জিতুর লোকজন আমাদের কর্মী সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছে। তাদের ভয়ে ইমামপুর ইউনিয়নে প্রায় ২২০ জন কর্মী সমর্থক পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
এ ব্যাপারে বিজয়ী ইমামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাফিজজ্জামান খান জিতু বলেন, আমার কোন সমর্থক কোন হামলা করে নাই। রায়হান ও সবুজ দেওয়ানের মধ্যে পুর্বে থেকেই বিরোধ। সে বিরোধ কে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে মারামারি ঘটনা ঘটতে পারে।
গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.
রইছ উদ্দিন জানিয়েছেন, হামলার ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ ঘটনার স্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনাটি কি নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা, না পূর্বের বিরোধ তদন্ত করে দেখা হবে।