কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ভানী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুজ্জামান ভূঁইয়া মুকুল গত রোববার রাত ১০টার দিকে মারা গেছেন। এ কারণে এই ইউপিতে চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্যসহ সব পদে ভোট গ্রহণ স্থগিত করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম।
গত রোববার রাত ১১টার দিকে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। সোমবার সপ্তম ধাপে এই ইউপিতে ভোট গ্রহণের কথা ছিল। তাই দেবিদ্বার উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ১৪টি ইউনিয়নে ভোট হয়েছে।
নুরুজ্জামান ভুঁইয়া মুকুল ভানী ইউনিয়নের নোয়াগাও গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান ছিলেন।
মুকুলের ভাই কামরুল ইসলাম দাবি করেন, রোববার সন্ধ্যায় নোয়াগাঁও প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে স্বতন্ত্র প্রার্থী হাজী জালাল উদ্দিন (মোটর সাইকেল) ও তার লোকজন একত্র হয়। এ সময় জালালের ভাগিনা চান্দিনা উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি আবদুল কাইয়ুমকে দেখে বহিরাগত হিসেবে মুকুল প্রতিবাদ জানালে তাদের উভয়ের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে কাইয়ুম মুকুলের বুকে লাথি মারলে সঙ্গে সঙ্গে তিনি নিচে লুটিয়ে পড়েন। পরে তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লার একটি বে-সরকারি হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হাজী জালাল উদ্দিন বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছে। তবে লাথি মারার বিষয়টি সত্য নয়। সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। পুলিশ তার ভাগিনা আবদুল কাইয়ুমকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে বলেও জানান তিনি।
রিটার্নিং কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম বলেন, চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী মারা যাওয়ায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) নির্বাচন বিধিমালা ২০১০- এর বিধি ২০- এর (১) অনুযায়ী প্রথমে চেয়ারম্যান পদে ভোট বাতিল করা হয়। এরপর নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক পুরো ভানী ইউনিয়নের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়। পরে এই নির্বাচনের তারিখ দেওয়া হবে।
দেবিদ্বার থানার ওসি আরিফুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনায় আবদুল কাইয়ুম নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।