ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে জুয়া খেলায় বাধা দেওয়ায় স্কুল গেইটের সামনে তিন শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পিটিয়েছে বখাটেরা। যারা আহত হয়েছেন তারা হলেন,এসএসসি পরীক্ষার্থী মারুফ,নাইম এবং ঘটনাটি আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর উচ্চবিদ্যালয়ের গেইটের সামনে ঘটেছে ৬ ফেবুয়ারী। এই বিষয়ে আহত শিক্ষার্থীর বাবা আবদুল হামিদ বাদী হয়ে ৮ ফেব্রুয়ারী দুপুর ১২টায় আশুগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন।
ঘটনাস্থলে সরজমিনে গিয়ে দুর্গাপুর উচ্চবিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানান,দুর্গাপুর ইউনিয়নের খড়িয়ালা গ্রামের অলিউল্লাহ শাহ’র ওরসে গত ২১ জানুয়ারী জুয়া খেলতে যায় দুর্গাপুর গ্রামের কামাল মিয়া,শফিক মিয়া এবং সেলিম মিয়ার নেতৃত্বে ১৫/২০ জন জুয়াড়ী। জুয়া খেলতে দেকে খড়িয়ালঅ গ্রামের আবদুল হামিদ,মোমমিন মিয়াসহ ৫/৬জন লেঅক বাধা দিয়ে জুয়া খেলা বন্ধ করে দেয়।এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দুর্গাপুর গ্রামের কামাল মিয়া,শফিক মিয়া এবং সেলিম মিয়া আবদুল হামিদ,মোমমিন মিয়াকে শাসিয়ে বলে যে,এটা পরিণাম ভাল হবে না।আমরা এটা দেখে নেব বলে হুমকি দিয়ে চলে আসে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৬ ফেব্রুয়ারী এসএসসি পরীক্ষার্থী মারুফ,নাইম এবং স্কুলের এসাইনমেন্ট এবং ইউনিক আইডির ফরম জমা দিয়ে আনুমানিক সকাল সাড়ে ১০টায় স্কুল থেবে বের হয়ে গেইটের সামনে আসার সাথে সাথে দুর্গাপুর গ্রামের নজার বাড়ির কামাল মিয়া,শফিক মিয়া এবং সেলিম মিয়া,মানিক,ইয়াদুল,কাকন,আনিছ,নিয়ামওে নেতৃত্বে ১৫/২০ জন বখাটে তাদের উপর ক্রিকেট খেলায় স্ট্যাম্প দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে মারাত্বক আহত করে। এ সময় মারামারি থামাতে গিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক আহত হয়। পরবর্তীতে খবর পেয়ে আশেপাশের লোকজন এবং তাদের অভিভাবকরা আহত শিক্ষার্থীদের উদ্ধার চিকিৎসার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আহত শিক্ষার্থীরা হাসপাতালে ভর্থি আছে।
এ বিষয়ে আহত শিক্ষার্থী নাইমের বাবা আবদুল হামিদ জানান, বখাটেরা শুধু মেরেই ক্ষান্ত হননি।তারা এই বলে আমাদেরকে শাসিয়েছে যে,মামলা করলে মেরে লাশ ফেলে দেবে।এই অবস্থায় আমি এবং আমার পরিবার নিয়ে আতঙ্কে আছি।তাছাড়া মারুফ,নাইম তারা স্কুলের মেধাবী শিক্ষার্থী।স্কুলের মেধাবী শিক্ষাথীরা যদি জুয়া খেলায় বাধা দেওয়ার কারণে বখাটেদের দ্বারা অমানবিক নির্যাতনে শিকার হয়।তাহলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের জীবনের নিরাপত্তা কোথায় পাবে। আমার ছেলে এখনও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি আছে।চলতি বছর এ্সএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে কিনা তা নিয়ে আমি সন্দিহান। আমি এঘটনার কঠোর শাস্তি দাবী করছি আইনশৃংখলা বাহিনীর নিকট। এ্সএসসি পরীক্ষার্থী মারুফের বাবা আব্দুল্লাহ বলেন,আমিার ছেলে মারুফের মাথার পিছনের আঘাত গুরতর। ডাক্তররা বলছেন তাকে ঢাকা পাঠিয়ে চিকিৎসা দিতে হবে।শিক্ষার্থীরা যদি তাদের জীবনের নিরাপত্তা না পায় তবে এই কোমলমতি শিক্ষার্থীরা কিভাবে লেখা পড়া করবে।আমি এই ঘটনান তীব্র নিন্দা এবং কঠিন শাস্তি দাবী করছি প্রশাাসাসেন নিকট।
দুর্গাপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বললে তিনি জানান,ঘটনাটি খুবই ন্যাক্কারজনক। আমি এই বিষয়ে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং আশুগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এই বিষয়ে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজাদ রহমান বলেন,আমি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি এবং আসামীদের গ্রেফতারের বিষয়ে অভিযান চলছে।