গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ডিমলা পদুমশহর মধ্যপাড়া গ্রামে কৃষকের সেচ পাম্পের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে গাইবান্ধা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লোকজন। এতে সেচের পাম্পের অধিনে প্রায় ৫০ বিঘা জমিতে রোপণকৃত বোরো ধানের আবাদ নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছে কৃষকরা।
পাম্প মালিক রাশেদুনব্বীর অভিযোগ, প্রায় ৪০ বছর ধরে পিডিপি লাইনে রাজ্জাক নামের এক ব্যক্তির নামে সেচ পাম্পটি চালু ছিলো। পরবর্তীতে উপজেলার অধিনে পিডিপির সমস্ত লাইন গাইবান্ধা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কাছে হস্তান্তর হলে একই সাথে ওই সেচ পাম্পলাইনটিও পল্লী বিদ্যুতের কাছে হস্তান্তর হয়। সেকারণে বোনারপাড়া জোনাল অফিস কতৃপক্ষ লাইনটি তদারকি করে আসছে। ওই লাইন চালু থাকা অবস্থায় মালিক আবদুর রাজ্জাকের মৃত্যু হলে সেচ পাম্পটি গত বছর আবদুর রাজ্জাকের ছেলের কাছ থেকে এ্কই গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে রাশেদু নব্বী ক্রয় করে পল্লী বিদ্যুতের নিয়ম মেনে তখন থেকেই সেচ কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। এবার ওই এলাকার ৩০ জন কৃষক প্রায় ৫০ বিঘা জমির বোরো আবাদে পাম্পটি থেকে সেচ দিয়ে আসছেন। বিনা কারণে হঠাৎ গেত সোমবার বোনারপাড়া জোনাল অফিসের লোকজন লাই বিচ্ছিন করতে আসে। সে সময় সেচ মালিকের পরিবার বাধা দেয়। পরে বোনারপাড়া জোনাল অফিসের কর্তব্যরত লোকজন সেচ পাম্পের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছন্ন করে মিটার খুলে নিয়ে যায়। ফলে সেচটির অধিনে ৫০ বিঘা জমির ধান ক্ষেত নষ্ট হওয়ার আশংকায় কৃষকরা বিপাকে পড়েছে।
সেচ পাম্পের বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছন্ন করে মিটার খুলে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে বোনারপাড়া জোনাল অফিসে দায়িত্বরত সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মেহেদী হাসানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, সেচ পাম্পের স্থাপনা পরিবর্তন করার কারণে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে মিটার খুলে নেয়া হয়েছে। এতদিন সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করে সেচ চলাকালীন কেন খোলা হলো ? তিনি এর সদউত্তর না দিয়ে বলেন মালিক আবেদন করলে আবার সংযোগ দেয়া হবে।