রংবাহারী গোলাপে আলোকিত হয়ে উঠেছে সাংবাদিক সালামের ছাঁদ বাগান। সারিবদ্ধভাবে লাগানো ফুল ও ফলের গাছের মধ্যে ভিন্ন রংয়ের গোলাপের সৌন্দর্য নজর কাঁড়ছে সকলের। শখের বসে গড়া তোলা ছাঁদ বাগানের মাঝে মিশে রয়েছে তার কল্পনাময়ী মনবাসনা। খুলনার পাইকগাছায় বাণিজ্যিক শহর কপিলমুনি প্রাণকেন্দ্রে সহচরী বিদ্যামন্দিরের উত্তর পার্শ্বে অবস্থিত প্রবীণ সাংবাদিক আবদুস সালামের তৃতীয় তলা বিশিষ্ট ছাঁদ বাগান জুড়ে ভিন্ন ফুল ও ফল গাছের সমাহার। প্রথমত তারই একটি ফেসবুক ওয়ালে ভিন্ন রংয়ের গোলাপ ফুলের ছবির সূত্র ধরে সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়, প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় রয়েছে অবসরপ্রাপ্ত এমবিবিএস চিকিৎসকের চেম্বার ও ক্লিনিক। তৃতীয় তলায় তার স্বপ্নের শয়ন কক্ষ। সিঁড়ি বেয়ে একটু উপরে উঠতেই পুরো ছাঁদ জুড়ে ফল ও ফুলের বাগান। তারমধ্যে রয়েছে বিভিন্ন জাতের কবুতর। রকমারী ফলের মাঝে ভিন্ন রংয়ের গোলাপের পাঁপড়ি যেন প্রকৃতির মাঝে ছাঁদ ও সেখানে অতিথিকে আলঙ্গিন করছে। কথা হয় সাংবাদিক আবদুস সালামের বলেন, শখের বসে করা পুরো ছাঁদ বাগানটি যেন আজ আমার স্বপ্ন পূরণের একটি চ্যাপ্টার। বেশ কয়েক বছর ধরে গড়ে তোলা ছাঁদ বাগানটি থেকে সফলতা আসছে। আমার ছাঁদ বাগান জুড়ে রয়েছে-কাটা মুকুট, রংবাহারী গোলাপ, কাগজ ফুল, লাল গোলাপ, গাধা ফুল, জবা, জুঁই, বেলি রঙ্গন, বল সুন্দরী, অপরাজিতা ও সোনালী রঙ্গন ফুলের গাছ। ফলের মধ্যে রয়েছে মালটা, কমলা, কাগজী লেবু, বাউকুল, ব্যানানা আম, ড্যারাগন ফল, ডোরাকাটা কমলা, পেয়ারা, চালতে ও আইচ ফল। আরো রয়েছে পুই শাক, লাউ, এ্যালোবেরা ও পুদিনা পাতা, রয়েছে বাহারী পাতা বাহারসহ নাম না জানা অনেক ফুল ও ফলের গাছ। এ ছাড়া তার ইচ্ছে রয়েছে ছাঁদ বাগানটি পর্যায়ক্রমে প্রশস্থ করা ও ছাদের প্রশস্থতার সাথে সাথে সুইমিংপুল আকৃতি জলকেলির জায়গা করার।