পাবনার সুজানগর পৌরসভায় খোলা বাজারে ওএমএস’র চাল ও আটা বিক্রি করা হচ্ছে। তবে চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম হওয়ায় সংশ্লিষ্ট ডিলাররা বিপাকে পড়েছেন।
উপজেলা খাদ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, পৌরসভার ৪জন ওএমএস’র ডিলারের অনুকূলে সপ্তাহে ৬দিন ৬টন চাল ও ৪টন আটা বরাদ্দ দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী প্রতিদিন ১২‘শ জন দরিদ্র মানুষের মাঝে ওই চাল ও আটা বিক্রি করা যায়। কিন্তু প্রতিদিন ৪/৫হাজার মানুষ চাল ও আটা কিনতে ওই সকল ডিলারদের দোকানে ভীড় করেন। এতে সংশ্লিষ্ট ডিলারদের চাল ও আটা বিক্রি করতে হিমশিম খেতে হয়। অনেক সময় এ নিয়ে ডিলারদের সাথে ক্রেতাদের বাগ্বিত-া পর্যন্ত হয়। সুজানগর মহিলা ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্র এলাকার ডিলার আবদুস সালাম বলেন সপ্তাহে ৬দিন আমার কেন্দ্রের অনুকূলে বরাদ্দ দেওয়া হয় দেড় টন চাল ও এক টন আটা। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক ব্যক্তি ৫কেজি চাল ও ৫কেজি আটা কিনতে পারবেন। সে অনুযায়ী বরাদ্দকৃত চাল ও আটা মাত্র ৩‘শ জন মানুষের মাঝে বিক্রি করা যায়। অথচ তার কেন্দ্রে প্রতিদিন ১২/১৩‘শ দরিদ্র ও দুঃস্থ মানুষ চাল ও আটা কিনতে ভীড় করেন। এত মানুষের ভীড় সামাল দিতে তার হিমশিম খেতে হয়। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানান। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আনোয়ার পারভেজ বলেন সরকারি সিদ্ধান্তমতে বরাদ্দ বাড়ানোর কোন সুযোগ নেই। বরাদ্দকৃত ওই চাল ও আটা নিয়ম মেনে বিক্রি করতে হবে।