মেহেরপুরের গাংনীতে টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে বাদল হোসেন (১৪) নামের এক স্কুল ছাত্রকে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে এক আদম ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার মটমুড়া ইউনিয়নের মোহম্মদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বাদল হোসেন মোহাম্মদপুর গ্রামের ভাদু মিয়ার ছেলে ও স্থানীয় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্র। বর্তমানে আহত বাদল হোসেন গাংনী হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডের ৫ নং বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। নির্যাতিত শিশুর পিতা ভাদু মিয়া জানান,৭ হাজার টাকা চুরির অভিযোগ তুলে প্রতিবেশি গিয়াস উদ্দীনের ছেলে আদম ব্যবসায়ী পলাশ তার ছেলে বাদল হোসেনকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে বিবস্ত্র করে গাছের ডাল দিয়ে পেঁটাতে থাকে। বাদল হোসেনের চিৎকারে প্রতিবেশিদের সহযোগিতায় উদ্ধার করে গাংনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাদল হোসেনের মা আশফিয়া খাতুন বলেন,তার ছেলের শরীরে বিভিন্ন অংশে নির্যাতনের চিহৃ রয়েছে। নির্যাতনের কথা মনে উঠলেই আতঙ্কে মাঝে মধ্যে চিৎকার করেছে। বাদল এখন অনেকটাই মানষিক রুগী হয়ে গেছে। দ্রত সময়ের মধ্যে অভিযুক্ত আদম ব্যবসায়ী পলাশকে গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি করেন। অভিযুক্ত আদম ব্যবসায়ী পলাশ বলেন,তাকে একটু শাসন করা হয়েছে। গাংনী হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার এমকে রেজা বলেন,শিশুটির শরীরের বিভিন্ন অংশে জখমের দাগ রয়েছে। তাকে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আবদুর রাজ্জাক বলেন,শিশু নির্যাতনের ঘটনা দু:খ জনক। তবে এ বিষয়ে নির্যাতিত শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।