বুধবার(৯ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১ টায় বরগুনার পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে হাজির হয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে স্বামীকে অন্যায়ভাবে আটক করে হয়রানি করার অভিযোগ করছেন রেনু বেগম নামে এক নারী কোস্টগার্ড সদস্যদের বিরুদ্ধে।
ওই নারী তার লিখিত বক্তব্যে জানান, গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিষখালী নদীতে প্রতিদিনের মতো তার স্বামী রুস্তুম আলী ট্রলারে মাছ ধরছিলেন। এ অবস্থায় রাত ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে কোস্টগার্ড সদস্যরা রুস্তুম আলীর মাছধরা ট্রলারে হামলা চালায় বলে সে অভিযোগ করে।
রেনু তার লিখিত বক্তব্যে আরও জানায়,ওইরাতে মুহুর্তের মধ্যে নড়াচড়া করলে গুলি করবে বলে কোস্টগার্ড হুমকি দিয়ে ট্রলারে উঠে পড়ে এবং কোস্টগার্ডের সোর্স এর মাধ্যমে রুস্তুম আলীর ডানপাশের কোচে ১০০৩ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ঢুকিয়ে আবার বের করে আনে। এ ঘটনায় তার স্বামী রুস্তুম আলী কে কোস্টগার্ড আটক দেখায় বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
ঘটনার পর কোস্টগার্ড পেটি অফিসার কন্টিজেন্ট কমান্ডার মো. ইউসুফ আলী বাদী হয়ে পাথরঘাটা থানায় মামলা করে। ওই মামলায় কোস্টগার্ড উল্লেখ করে রাত ৩ টা ৩০ মিনিটে তারা গোপন সংবাদ পেয়ে নতুন বাজার কোস্টগার্ডের ক্যাম্প থেকে রওনা হয়ে রাত ৩ টা ৪০ মিনিটে আটক দেখায়। অথচ ঘাট থেকে তার স্বামীকে যেখান থেকে আটক করেছে; সেখানে অন্তত ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট সময় লাগার কথা। তাছাড়া একটি ট্রলার একজনে চালাতে পারেনা। অন্তত দুই থেকে তিনজন লোক দরকার হয়। রেনু বেগম জানান,তার স্বামীর সাথে আরও তিনজন লোক ছিল। তাদের আটক না করে শুধুমাত্র তার স্বামীকে আটক দেখানো হয়। রেনু বলেন,তার স্বামীর সাথে যদি ইয়াবা থাকতো তাহলে কোস্টগার্ড কাছাকাছি আসার আগেই তো নদীতে ফেলে দিত অথবা নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ত। মামলায় আটক দেখানো হয় ৩টা ৪০ মিনিটে। অথচ ১১ ঘণ্টা পর বেলা ২টায় থানায় সোপর্দ করে। রাত ৩টা ৩০ মিনিটে রওনা হয়ে ১০ মিনিটের মাথায় কিভাবে আটক করলো তাকে? রাতের আধারের মধ্যে আমাদের খুঁজে বের করতে হয়েছে। সব মিলিয়ে কোস্টগার্ডের অভিযান ছিল সাজানো নাটক। মামলাটিও একটি নাটক সাজানো এবং মিথ্যা বলে প্রমাণ হয়।
বিষয়টি তাদেরকে হয়রানি করার শামিল বলে তিনি অভিযোগ করেন এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এই মিথ্যা হয়রানি থেকে তার স্বামীকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানান তিনি।