গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ১৫ নং শিবপুর ইউনিয়নের শিবপুর ফজরিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা কেন্দ্রে কারচুপির মাধ্যমে ভোট গ্রহন ফলাফল প্রদানের কারণে ওই কেন্দ্রে পুনঃরায় ভোটগ্রহনের দাবিতে বুধবার উপজেলা শহরের গোহাটি এলাকায় নিজ কার্যালয়ে দুপুর ১২ টায় সংবাদ সম্মেলন করেন পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী তৌহিদুল ইসলাম প্রধান।
তিনি বলেন গত ৭ ফেব্রুয়ারী এ কেন্দ্রের এসব অনিয়ম তুলে ধরে পুনঃনির্বাচন চেয়ে নির্বাচন কমিশন বরাবরেও অভিযোগ দিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে তৌহিদুল ইসলাম বলেন, গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু ওইদিন শিবপুর ইউনিয়নের শিবপুর ফজরিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা কেন্দ্রে সংঘর্ষের ঘটনায় ভোটগ্রহণ স্থগিত হয়। মোটরসাইকেল ও নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে এই ঘটনা ঘটে। ওই কেন্দ্রে গত সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) পুনরায় ভোটগ্রহন অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি উল্লেখ করেন, ২৬ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আটটি কেন্দ্রে তিনি ৪ হাজার ৪১৬ ভোট পান। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সেকেন্দার আলী মন্ডল পান ২ হাজার ৬৭৫ ভোট। প্রাপ্ত ভোটের হার ছিল ৭৯ ভাগ। এতে তিনি আওয়ামী লীগ প্রার্থীর চেয়ে ১ হাজার ৭৪১ ভোট বেশি পেয়ে এগিয়ে থাকেন। সোমবারের নির্বাচনে ফজরিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ২ হাজার ১৫১ ভোট পান এবং তিনি (তৌহিদুল) পান মাত্র ২১ ভোট। কেন্দ্রটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ৩৫৪টি। বিপুল ভোটে এগিয়ে থেকেও তিনি জাল ভোট প্রদান ও কারচুপির কারণে ৩৮৯ ভোটে পরাজিত হন।
সম্মেলনে তৌহিদুল ইসলাম আরও বলেন, ২০১৯ সালে ভোটার তালিকা হালনাগাদ হলেও প্রায় ১৪-১৫ বছর আগে ভোটার তালিকা প্রণয়ন হয়েছে। ইতোমধ্যে ভোটার এলাকায় মৃত্যুবরণ ও চাকরির কারণে বাইরে থাকার কারণে প্রায় ৯৫০ ভোটার ভোট দিতে আসেননি। অথচ প্রদত্ত ভোট দেখানো হয়েছে ২ হাজার ১৯৫টি। আওয়ামী লীগ প্রার্থীর লোকজন তাকে অবরুদ্ধ রেখে ভোটকেন্দ্র দখল করে। তারা প্রশাসনের উপস্থিতিতেই শতকরা ৯৩ ভাগ ভোট নিজের লোকজন দ্বারা নৌকা প্রতীকে সীল মেরে ভোট গণনার ফলাফল লিখে নেন। তাই তিনি শিবপুর ফজরিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা কেন্দ্রে পুনরায় ভোটগ্রহণের দাবি জানান। তিনি বলেন, ২৬ ডিসেম্বরের নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকরা এই কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেন। তারা নিজের পরাজয় বুঝতে পেরে ভোটগ্রহন স্থগিত করতে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করেন। এই কারণ দেখিয়ে সেই দিনের ভোটগ্রহন কর্মকর্তারা ভোটগ্রহন স্থগিত করেন।