চাঁদপুর সদর উপজেলা ১১ নং ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের মেঘনা নদী বেষ্টিত চরে বেকু সন্ত্রাস চলছে। একটিচক্র সরকার দলের প্রভাব খাটিয়ে সরকারি খাস সম্পত্তির কৃষি জমি নষ্ট করে নির্বিচারে মাটি বিক্রি করছে। ৪/৫টি ভেকু দিয়ে মাছের ঝোল করার নাম করে কৃষি জমির মাটি কেটে বিক্রি করা হয় চলতি শীত মৌসুমে প্রায় কয়েক কোটি টাকা মাটি বিক্রি করা হয় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়। রহমান তালুকদার ও মন্তা তালুকদারের ছেলে মুন্না সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে দীর্ঘদিন যাবত কৃষিজমি বিনাশ করে মাটি বিক্রি করে বিপুল পরিমান অর্থ কামিয়ে নিচ্ছেন। তার বিনা বাধায় এ অবৈধ কার্যক্রম করে আসলেও দেখার যেন কেউ নেই। উপজেলা প্রশাসন ও নিশ্চুপ। এ ব্যাপারে স্থানীয় কৃষকদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের ৪ নং শিটে প্রায় ৬০ একর সরকারি খাস জমি রয়েছে। আলুবাজারের বিপরীত হিন্দুলিয়া মৌজার পাশে ইব্রাহিমপুর চরের বিস্তীর্ণ এই কৃষিজমি ধ্বংস করা হচ্ছে। জানা যায়,স্থানিয়রা ঝোপ জঙ্গল পরিষ্কার করে তারা কৃষি পণ্যের আবাদ করত। এই জমিগুলোতে মানুষ স্থানিয়ভাবে ধান সয়াবিন, সরিষা মরিচের আবাদ করে জীবন বাঁচাত। এখানে বারোমাসই সাধারণ কৃষক ফসল করতে পারত।কিন্তু সরকারি খাস জমি হওয়াতে দুর্বৃত্তদের দৃস্টি পড়ে টাকা কামানোর ধান্দায়। শহরে বাসবাস করে এমন কিছু লোক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে নিরীহ মানুষের উপর প্রভাব বিস্তার করে ভেকু বসায় এবং মাটি কেটে বিক্রি করে আসছে।
এজন্য তারা কৌশলের আশ্রয় নেয়। প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে মাছের ঝিল করার কথা বলে বিপুল পরিমাণ কৃষিজমি বিনাশ করে ফেলছে। নিরীহ কৃষকরা দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হতে পারে এজন্য তারা কিছুই বলার সাহস পাচ্ছে না। জানান, ঝিলের নামে কিছুই হয় না, বালুচরে মানুষের কৃষিজমি গুলো নষ্ট করে ফেলছে।
জনগুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়টির প্রতি প্রশাসন কৃষি বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার সচেতন মহল।